এমটিনিউজ ডেস্ক : বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ, নিরাপত্তার চাদর। বাবা জীবনের বটবৃক্ষ, তার তুলনা তিনি নিজেই। বাবা শাশ্বাত চির আপন, চিরন্তন। যারা আজও বাবাকে ভালোবাসি কথাটি মুখ ফুটে বলতে পারেননি। তারা আজ বাবাকে ভালোবাসি কথাটি বলে ফেলুন।
আজ বিশ্ব বাবা দিবস। সারা বিশ্বের সন্তানরা বাবাকে বিশেষভাবে সম্মান জানানোর জন্য জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসেবে পালন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালিত হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে ৫ জুলাই এই দিবস পালন করা হয়। মিসেস গ্রেস গোল্ডেন ক্লেটনের উদ্যোগেই মা দিবসের আদলে দিবসটি পালিত হয়।
১৯০৭ সালের একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২১০ জন বাবার স্মৃতির উদ্যোগে সেবারের দিবস। তবে তা নিয়মিত হয়নি। তার দুই বছর পর ১৯১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনোরা স্মার্ট ডট নতুন পরিসরে বাবা দিবস পালন করে। সেনোরাকেই বাবা দিবসের উদ্যোক্তা মনে করা হয়।
১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন।
বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয় এ দিবসটি। এই দিনের মূল বিষয় হচ্ছে গিফট। অর্থাৎ এদিনে ছেলে-মেয়েরা তাদের বাবাদের কোনো না কোনো গিফট দিতে খুব পছন্দ করে। আর বাবারাও ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে গিফট পেয়ে অভিভূত হন। অনেকে ঘটা করে দিবসটি পালন করে থাকেন।
বাবা সন্তানের সম্পর্ককে কোনো দিবস দিয়ে বেধে রাখা যায় না। তবুও একটি দিনে বাবাকে বিশেষভাবে সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য থাক। তাই বাবা দিবসে এটাই প্রার্থনা, ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা।