শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩, ১১:৪৭:৫৯

ইসলামে নিষিদ্ধ কোরবানি পশুর যেসব অংশ খাওয়া

ইসলামে নিষিদ্ধ কোরবানি পশুর যেসব অংশ খাওয়া

এমটিনিউজ ডেস্ক : মুসলমানদের জন্য কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। আর ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

১০ জিলহজ একজন সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির মাংস বিতরণের উত্তম পদ্ধতি হলো সমস্ত মাংস তিন অংশে ভাগ করা। একাংশ নিজের ও পরিবারের জন্য রাখা, আরেক অংশ স্বজনদের উপহার দেয়া ও আরেক অংশ এতিম, অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা।

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস খাওয়া হালাল হলেও পশুর কিছু জিনিস আছে যা খাওয়া যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরবানির পশুর ৭টি জিনিস খাওয়া অপছন্দ করতেন।

হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি হজরত মুজাহিদ (রহ.) বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ (সা.) বকরির সাত জিনিস খাওয়াকে অপছন্দ করেছেন। তা হলো প্রবাহিত রক্ত, পিত্ত, মূত্রথলি, মাংসগ্রন্থি, নর-মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ এবং অন্ডকোষ (বায়হাকি)।

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘রক্ত ছাড়া হালাল পশুর অন্য কোনো অংশ হারাম নয়।’ তবে রাসুলুল্লাহ (সা.) হালাল পশুর এ অংশগুলো অপছন্দ করতেন- প্রবাহিত রক্ত, অণ্ডকোষ, চামড়া ও গোশতের মাঝে সৃষ্ট জমাট মাংসগ্রন্থি, মূত্রথলি, পিত্ত এবং নর ও মাদি পশুর গুপ্তাঙ্গ।

এদিকে একাধিক শরিকে কোরবানি করলে ওজন করে মাংস বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নেই। পা ও মাথার ক্ষেত্রেও একই বিধান। তবে কেউ যদি নিজের ভাগের অংশ অন্যজনকে দিয়ে দেয়, তাতে সমস্যা নেই।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে