এমটিনিউজ ডেস্ক : আজ রবিবার থেকে সারা দেশে বাড়তে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদরা জানান, বৃষ্টিপাত বাড়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে ঈদুল আজহা পর্যন্ত। তবে বৃষ্টিপাত বাড়লেও তা দেশের নদ-নদীগুলোর ওপর তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র। ফলে এই সময়ে নদীর পানি বেড়ে বন্যার আশঙ্কাও নেই।
এদিকে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সতর্কবার্তায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত আছে।
ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তত্সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আজ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই তিন বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া রংপুর ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী দুই দিনে দেশে বৃষ্টি আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এই মুহূর্তে দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা কম, দক্ষিণের দিকে বেশি। ২৫ জুনের পর থেকে গোটা দেশেই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা একটু বাড়বে। ঈদের সময় পর্যন্ত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গতকাল শনিবার বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে (মঙ্গলবার বিকেল ৩টা) এই চার বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিলিমিটার বা তার চেয়েও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘আগের দিন (শুক্রবার) দেশের নদ-নদীগুলোর পানি স্থিতাবস্থায় থাকলেও আজ (গতকাল) সব কটি পয়েন্টেই কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসও বলছে, আগামী দু-তিন দিন উজানে তেমন কোনো ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
ফলে এ সময়টায় পানি কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাত একটু বাড়তে পারে। কিন্তু ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ফলে আমরা ধারণা করছি, পরবর্তী দিনগুলোতেও পানি কমার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।’
পাউবো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি কমছে। এ ছাড়া গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা স্থিতিশীল রয়েছে।