রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩, ০৪:২০:২৬

যে ভুল অনেকে করে কোরবানির মাংস বিতরণে

যে ভুল অনেকে করে কোরবানির মাংস বিতরণে

এমটিনিউজ ডেস্ক : আমাদের কিছু সমাজে প্রচলিত আছে সকল কোরবানিদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ (যে অংশ গরিবদের জন্য রাখা) মাংস সংগ্রহ করে তা আবার সমাজের প্রতিটি ঘরে বণ্টন করা হয়। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় কোরবানিদাতা চক্ষুলজ্জার ভয়ে কিংবা সামাজিক চাপে পড়েই মাংস দিতে বাধ্য হন।

একইসঙ্গে এক্ষেত্রে ধনী, গরিব এমনকি স্বয়ং কোরবানিদাতাও ওই গোশতের ভাগ পান। কিন্তু সমাজে অনেকের কোরবানি মান্নতের থাকে, যার মাংসে শুধু গরিবদের অধিকার। তাই এ পদ্ধতি জায়েজ নেই।

তবে যদি মান্নতের না হয়; কোরবানিদাতা স্বেচ্ছায় এখানে মাংস দেন এবং তা শুধু গরিবদের মাঝেই বিতরণ করা হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে। (দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইট, ফতোয়া নং : ১৫৩৮৩১)

আকিকার মাংস বণ্টনেও একই বিধান: আকিকার মাংস সন্তানের মা-বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন এবং ধনী-গরিব সবাই খেতে পারবেন। আকিকার মাংসের বণ্টন ও ব্যবহার কোরবানির মতোই। কিছু নিজেদের জন্য রাখা, কিছু আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া এবং কিছু সদকা করা উত্তম (ইলাউস সুনান : ১৭/১১৮, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০৪)।

মান্নতের কোরবানির মাংস পুরোটাই বিতরণ করতে হবে: মান্নতের কোরবানির মাংস মানতকারী ও তার পরিবার খেতে পারবে না; বরং তার পুরোটাই দান করে দিতে হবে এবং যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত শুধু তাদেরকেই দেওয়া যাবে, ধনীদের দেওয়া যাবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/১৯৫ ও রদ্দুল মুহতার : ৩/৭৩৭)

কোরবানিকৃত পশুর পা-মাথা ভাগের ক্ষেত্রে করণীয়: একাধিক শরিকে কোরবানি করলে ওজন করে মাংস বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নেই। পা ও মাথার ক্ষেত্রেও একই বিধান। তবে কেউ যদি নিজের ভাগের অংশ অন্যজনকে দিয়ে দেয়, তাতে সমস্যা নেই (আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩১৭, কাজিখান : ৩/৩৫১)।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে