রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৯:১০:১১

‘সবকিছুর জন্যই একদিন হিসাব দিতে হবে’

‘সবকিছুর জন্যই একদিন হিসাব দিতে হবে’

নিউজ ডেস্ক : ‘সবকিছুর জন্যই হিসাব দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আলোচিত চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। শুক্রবার নিজস্ব ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাজে প্রচলিত বিদআতের কুফল সম্পর্কে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে হ্যাপী বলেন, ‘সাবধান! আমরা বিদাতের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি, তবুও বুঝতে পারছি না। জন্মদিন পালন, বিভিন্ন দিবস পালন, মাজারে নানা কর্মকা- ইত্যাদি তো আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। এসব ছাড়াও আমরা নানাভাবে বিদআতে শামিল হচ্ছি। এসব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে না পারলে ক্ষতি আমাদেরই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবকিছুর জন্যই একদিন হিসাব দিতে হবে। বিদআতের কারণে অনেক বড় বড় গুনাহের বোঝা নিয়ে হাসরের ময়দানে উঠতে হবে।’

হ্যাপীর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

বিদআত কি? দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করাই বিদআত :

শরিয়াতের সুস্পষ্ট কিংবা অস্পষ্ট মৌখিক বা কার্যত অনুমতি ব্যতিরেকে সাহবা, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনের যুগের পর দ্বীনের মধ্যে কোনো কিছু বৃদ্ধি করা কিংবা দ্বীন থেকে কোনো কিছু হ্রাস করাকে শরিয়তের পরিভাষায় বিদআত বলে।

সমাজে বিদআত চালু হওয়ার কারণ :

কোরআন-হাদিসের দাবী থেকে বিমুখ হয়ে পূর্বপুরুষের অনুসরণকে মুক্তির উসিলা মনে করার প্রবণতা থেকে বিদআত চালু হয়ে থাকে।
কোরআন ও হাদিসের ব্যাপারে অজ্ঞতা, উলূমে দ্বীন থেকে দূরে থাকার কারণে বিদআতের বাহ্যিক চাকচিক্য প্রভাবিত হয়েও এর প্রচলন হয়।
কখনো কখনো পদ ও সম্পদের মোহ এবং আত্মপ্রসিদ্ধির চেতনা থেকেও বিদআত জন্ম হয়।
কখনো আবার দ্বীনের ব্যাপারে অলসতা প্রদর্শন, অন্যায় ও অসৎ কর্মকে প্রশ্রয় দান এবং দেখেও না দেখার ভান করার কারণে বিদআতের প্রসার ঘটে।
প্রবৃত্তি পূজা তথা দ্বীনের তোয়াক্কা না করে নিজ খেয়াল-খুশিমত চলার আত্মঘাতি প্রবণতার কারণেও বিদআত ছড়িয়ে পড়ে।

বিদআত নিন্দনীয় হওয়ার কারণ :
বিদআতের অন্ধকারের দরুন মানুষ সুন্নতের আলো থেকে দূরে চলে যায়।
বিদআতি ব্যক্তি দ্বীন মনে করে গুনাহ করার কারণে তার তওবা নসিব হয় না; বিনা তওবাতেই তার মৃত্যু হয়ে যায়। পক্ষান্তরে অন্যান্য গুনাহকে গুনাহ মনে করার দরুন কখনো অনুতপ্ত হয়ে, তওবা নসিব হয়ে যায়।
দ্বীন পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর বিদআত আবিষ্কার করার অর্থ হলো, প্রকারান্তরে একথা ঘোষণা করা যে, (নাউযুবিল্লাহ) দ্বীন অসম্পূর্ণ ছিল এবং রাসুল সা. তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। আর এটা বহুত বড় জঘন্য মানসিকতা।
বিদাতের কারণে আসল দ্বীনে বিকৃতি ঘটে। দ্বীন তার প্রকৃত রূপ হারায় এবং এর দরুন কিয়ামতের দিন সে রাসুল সা. -এর শাফাআত পাবে না।

অতএব, সাবধান! আমরা বিদআতের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছি, তবুও বুঝতে পারছি না। জন্মদিন পালন, বিভিন্ন দিবস পালন, মাজারে নানা কর্মকান্ড ইত্যাদি তো আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। এসব ছাড়াও আমরা নানাভাবে বিদআতে শামিল হচ্ছি। এসব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে না পারলে ক্ষতি আমাদেরই। আমাদের সবকিছুর জন্যই হিসাব দিতে হবে। বিদআতের কারণে অনেক বড় বড় গুনাহের বোঝা নিয়ে হাশরের ময়দানে উঠতে হবে। আল্লাহ সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন।
৩১ জানুয়ারি ২০১৬ এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে