ঢাকা : সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল বাতিল হওয়ায় ক্ষতির চেয়ে বরং পে স্কেলে লাভবান হবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলে মনে করেছেন অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, নতুন স্কেলে বাড়তি অর্থ পেতে নভেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। বেতন বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা নাকচ করেছেন তিনি।
সিলেকশন গ্রেড এবং টাইম স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের একটা বড় অংশ এটা বহাল রাখতে দফায় দফায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাতিল হয় টাইম স্কেল এবং উচ্চতর স্কেল।
এর বদলে গ্রেড ভেদে ৩.৭৫ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, স্ট্যাটিসটিক্যালি দেখা গেছে, পে-স্কেলের পরও বড় ধরনের কোনো মূল্যস্ফীতি হয়নি। গত ছয় বছরে দেশে ভালো একটা প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। অর্থনীতিতে প্রতিবছর ৬ থেকে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
এ মুহূর্তে যে পে-স্কেল দেয়া হয়েছে তা সময়োপযোগী ও পরীক্ষিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বর্ধিত বেতন-ভাতা বাজারে সরবরাহ-ও চাহিদা ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অর্থ সচিব জানান, এ বছর আমাদের বাজেটের পরিমাণ হলো ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা, যা সংসদ অনুমোদনও করেছে। নতুন স্কেলে যে টাকা বেতন-ভাতা হিসেবে দেয়া হবে তা এই বাজেটের পরিমাণে ধরা রয়েছে। এ জন্য নতুন কোনো অর্থের যোগান দিতে হবে না।
নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ায় চলতি অর্থবছরে বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ সরকারের খরচ হবে ৬০ হাজার ৩শ’ ৫৬ কোটি টাকা।
সর্বশেষ ২০০৯ সালে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি হয়েছিল।
৭ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম