এমটিনিউজ ডেস্ক: কক্সবাজার ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় গতকাল বুধবার পানি কিছুটা কমলেও কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থান ডুবে থাকায় দীঘিনালার সঙ্গে সাজেক ও লংগদুর যোগাযোগ গতকাল রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সরাসরি যান চলাচলও।
তবে মঙ্গলবার রাত থেকে আনোয়ারা-বাঁশখালী-পেকুয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে সীমিত আকারে যান চলাচল শুরু হয়েছে। বান্দরবান-কেরানির হাট সড়কের দুটি স্থান এবং বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কের তিনটি স্থান প্লাবিত থাকায় বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ চালু হয়নি। বান্দরবান-রুমা, বান্দরবান-থানচি, বান্দরবান-রোয়াংছড়ি, থানচি-আলীকদম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড় ধসে পড়ায় এ সড়কগুলোও বন্ধ রয়েছে রবিবার থেকে। বিদ্যুৎ না থাকায় চার দিন ধরে অন্ধকারে বান্দরবান জেলার বেশির ভাগ এলাকা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামীকাল শুক্রবার থেকে বৃষ্টি আবার বাড়তে পারে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে সোমবার পর্যন্ত। অতি ভারি বর্ষণের কারণে আজও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর (মুহুরী, ফেনী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী) পানি কমছে। এতে আজ চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হতে পারে।