এমটিনিউজ ডেস্ক: টানা বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চকরিয়ার উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়ন গতকাল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তবে উপজেলার পূর্বাংশের অপেক্ষাকৃত উঁচু ইউনিয়নগুলোর পানি কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল।
গতকাল পানিতে তলিয়ে ছিল এই দুই উপজেলার ৭০ শতাংশ এলাকা। পানিবন্দি ছিল ২৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার তিন লাখের বেশি মানুষ। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
বন্যায় চকরিয়ায় গতকাল সকাল পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ে দুই শিশু ও পানির স্রোতে ভেসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পানিবাহিত নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় চকরিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্যপ্রধান ডা. শোভন দত্ত।
চকরিয়া ইউএনও জে পি দেওয়ান বলেন, ‘চকরিয়ার ৪০ শতাংশ এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে উপকূলীয় ইউনিয়নগুলো। সরকারিভাবে রান্না করা ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। স্কাউট সদস্যেদের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে ৩৭ হাজার ৫০০ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।