নিউজ ডেস্ক : রোগ শনাক্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন গাছ মানব আবুল বাজেদারের রোগ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তার শরীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগিরই তা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে। এরই মধ্যে সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া আরও দুভাবে তার রোগ শনাক্তের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে তার এই রোগ ইপিডেরম্যাল হাইপারকেরাটোসিস নামে পরিচিত হলেও চিকিৎসাপূর্ব রোগ শনাক্তের অংশ হিসেবে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আবুল বাজেদার বর্তমানে ওই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ডা. সামন্ত লাল সেন, অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম ও ডা. মো. রবিউল আলম খানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আবুল বাজেদারের চিকিৎসা সহায়তা দিতে পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি।
ওই ইউনিটের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমেরিকায় চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আবুল বাজেদারের শরীর থেকে সংগৃহীত রক্ত ও অন্যান্য উপাদান শিগগিরই আমেরিকায় পাঠানো হবে। এখন ৩ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার রোগ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এরপরই তার চিকিৎসা চলবে। তবে ওই হাসপাতালে তার সফল চিকিৎসা প্রদানে চিকিৎসকরা যথেষ্ট আশাবাদী বলেও জানান তিনি।
আবুল বাজেদারের শরীরে আঁচিল ওঠার পর তার হাতে-পায়ে গাছের মতো ডালপালা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তার হাত-পায়ের আঙুল রীতিমত বনসাইয়ের মতো ছোটখাটো গাছের রূপ নেয়। এ অবস্থায় গত শনিবার তার মা আমেনা বেগম ও বোন আদুরি তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
এরপর চিকিৎসকরা জানান, এমন রোগী পৃথিবীতে তৃতীয়। এর আগে ইন্দোনেশিয়া ও রোমানিয়ায় এমন রোগী দেখা গিয়েছিল। আবুল বাজেদার খুলনার পাইকগাছার বাতিখালী গ্রামের মানিক বাজেদারের ৮ ছেলেমেয়ের মধ্যে ষষ্ঠ। ২২ বছরের বাজেদারের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। এক সময়ে ভ্যানগাড়ি চালিয়ে জীবন চালানো বাজেদারকে এখন খাওয়া-দাওয়াসহ প্রায় সব কাজে স্ত্রীসহ অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হয়।
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস