বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৪:৩৮:০৩

প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন বটে!

প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন বটে!

আবুল কাশেম : ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৪৭৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি বিদ্যুৎকন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে দেশে মোট বিদ্যুৎকন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিন বিদ্যুৎকন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা সেঞ্চুরি করেছি। ক্রিকেট খেলায় সেঞ্চুরি হয়; বিদ্যুৎকন্দ্র নির্মাণেও বাংলাদেশ সেঞ্চুরি করেছে। কাজেই এটা একটা বিরাট অর্জন।’

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য দেশের সব সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইনে প্রচারিত হয়েছে। জাতীয় সংসদের মহিলা আসন-৩-এর সংসদ সদস্য (এমপি) বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীও তথ্যটি জেনেছেন। অথচ সেই তিনিই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ধার করে তাঁকেই প্রশ্ন করেছেন। জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর প্রশ্ন, ‘ইহা সত্য কি না যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্র নির্মাণে সেঞ্চুরি করেছে; এবং বর্তমানে বিদ্যুৎ উত্পাদনে সক্ষমতা কত? বর্তমানে দেশের কত শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে?’

এভাবেই সাধারণ ও জানা বিষয় নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে অগুরুত্বপূর্ণ ও অবান্তর সব প্রশ্ন করছেন এমপিরা। চলতি অধিবেশনে ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তার জন্য ৪৮টি প্রশ্ন জমা পড়েছে। প্রশ্নগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিতরণ করা হয়েছে। প্রশ্নগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এর বেশির ভাগের উত্তরই সাধারণ মানুষের জানা।

প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী প্রতিনিয়তই সংসদের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বারবার এসব তথ্য জানিয়েছেন, অথচ সেসব তথ্য জানা নেই অনেক এমপির! প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কিংবা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তগুলোও মনে রাখেন না তাঁরা। তাই এমপিদের সাধারণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অসাধারণ ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটে সংসদ সচিবালয়, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার অধীন দপ্তর-অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।

আর অন্ধকারে থাকলেও এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়াটা এমপিদের জন্য খুবই সহজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েব পেজ থেকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার আগে অবশ্যই সেই প্রশ্নের গুরুত্ব বিবেচনা করা উচিত। যেনতেন প্রশ্ন করে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করা উচিত নয়। অনেক এমপির মনেই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে  প্রশ্ন জাগে না। সংসদে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও এলাকার মানুষের কাছে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নামকাওয়াস্তে অতি সাধারণ প্রশ্ন করার এ সংস্কৃতি গড়ে উঠছে এমপিদের মধ্যে। এখান থেকে সরে এসে তাঁদের জাতীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ তাঁদের।

প্রধানমন্ত্রীকে যেনতেন বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত নয় মত দিয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাধারণত মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রশ্ন বেশি আসে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে সাধারণ প্রশ্ন খুবই কম হয়। তাঁকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ নিয়ম নেই। তবুও সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে এমপিদের আরো দায়িত্বশীল ও সতর্ক হওয়া দরকার। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে করা এমপিদের প্রশ্ন যাচাই-বাছাই করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও সচেতন হতে হবে।’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জাতীয় সংসদে অধিবেশন চলাকালে প্রতি মিনিটে খরচ হয় এক লাখ ১১ হাজার টাকা। সংসদীয় সংস্কৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি একই সঙ্গে সংসদের নেতা এবং দলীয় প্রধান। সংসদের মৌলিক দায়িত্ব হলো জনগণের কাছে জবাবদিহি করা। প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নের মাধ্যমে সরকারকে সেই জবাবদিহির মধ্যে নিয়ে আসার সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে। সংসদ সদস্যদের সে বিবেচনা থেকেই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে প্রশ্ন করা উচিত।’

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এমপিরা অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পান। আগে থেকেই প্রশ্নগুলো জমা দেন তাঁরা। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সেই প্রশ্ন যাচাই-বাছাই করার কথা। তবে কার্যত সেগুলো বাছাই করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। বাছাই করা প্রশ্নগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে আসে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় আবার সেগুলো অন্য সব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে উত্তর জমা দিতে বলে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো আবার বিভিন্ন অধিদপ্তর, দপ্তরে পাঠায় প্রশ্নগুলো। সেখান থেকে তথ্যনির্ভর উত্তর প্রণয়ন করে তা আবার ফেরত আসে মূল মন্ত্রণালয়। এভাবে সব মন্ত্রণালয় উত্তর সংগ্রহ করে পাঠায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। পরে তা পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এবং নির্ধারিত দিনে এর উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।

এমপিদের এসব অতি সাধারণ প্রশ্নের উত্তরদানে বেশি সময় ব্যয় করতে চান না প্রধানমন্ত্রীও। তাই প্রশ্নের উত্তর প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি বেশ কিছু অনুশাসন দিয়েছেন কর্মকর্তাদের। তার মধ্যে রয়েছে উত্তরগুলো হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও তথ্যবহুল, প্রয়োজনে বুলেট পয়েন্টে (রচনামূলক পরিহার)। উত্তর প্রণয়নে অল্প কথায় অধিক তথ্য থাকতে হবে এবং পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশের বৃহত্তম অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প পদ্মা সেতু নিয়ে দেশে আলোচনা কম হয়নি। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেক মন্ত্রীই এ সেতু নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক সেতুতে অর্থায়ন করা থেকে সরে যাওয়ার পর সরকার সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিদেশের নামকরা সংবাদমাধ্যমেও ফলাও করে প্রচার হয়েছে।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পানি প্রবাহের দিক থেকে আমাজন নদীর পরই পদ্মার অবস্থান। সে বিবেচনায় পদ্মা সেতু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। আর নদী ও সাগরের ওপর নির্মিত সেতু কিংবা স্থলভাগের ওপর নির্মিত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য বিবেচনায় নিলে বিশ্বে বৃহৎ সেতুর তালিকায় পদ্মা সেতুর অবস্থান ২৫তম।

তার পরও পিরোজপুর-৩ আসনের এমপি মো. রুস্তম আলী ফরাজী প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নে করেছেন, ‘দেশি-বিদেশি সকল ধরনের ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার কোটি কোটি মানুষের স্বার্থে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণকাজ উদ্বোধন করায় দেশের কোটি কোটি জনগণের পক্ষে আপনাকে গভীর শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একই সাথে জানতে চাচ্ছি উক্ত সেতুটি পৃথিবীর বৃহত্তম সেতুগুলোর মধ্যে কত নম্বরে অবস্থান।’ তিনি আরেকটি প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘সেতুটি নির্মাণে নিজস্ব অর্থায়ন ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে ঋণ নিচ্ছেন কি না? নিলে, উক্ত দেশের ঋণের পরিমাণ কত?’

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার বক্তব্য রেখেছেন। তবুও নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর সারা বাংলাদেশে পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নিরঙ্কুশ বিজয় এবং বিএনপি-জামায়াতের ভরাডুবির ব্যাপারে আপনার অভিব্যক্তি কী?’

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সংশোধনের মাধ্যমে এ দুটি দেশ ছাড়াও নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে চার দেশের সড়ক, রেল ও নৌযোগাযোগ প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বহুবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন নেপাল-ভুটানের সঙ্গে। তারপর বাংলাদেশে নেপাল বাদে তিন দেশের মোটর শোভাযাত্রা হয়েছে।

সার্কভুক্ত এই চার দেশের মধ্যে আন্ত যোগাযোগ গড়ে তোলা সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। তবুও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্ন, ‘বর্তমান সরকার দেশের ও পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি করার লক্ষ্যে কোনো মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও চুক্তি হয়েছে কি না; হলে উহা কী এবং আগামীতে আরো নতুন কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে কি না?’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে ব্লুমবার্গসহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেগুলোয় আগামী দিনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার চীনের চেয়ে বেশি হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এ প্রসঙ্গে দুজন সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেছেন।

মহিলা আসন-৪২-এর সংসদ সদস্য বেগম নূরজাহান বেগমের প্রশ্ন, “বাংলাদেশ আজ উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখে, এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি সামষ্টিক উন্নতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে তার নিজ অবস্থান সুসংগঠিত করেছে। বিশ্বের অনেক নেতা বাংলাদেশের উন্নতির প্রশংসা করছেন। সবাই আপনার নেতৃত্ব ও দেশ পরিচালনার প্রশংসা এবং বাংলাদেশকে ‘এমার্জিং টাইগার’ হিসেবে উপাধি দিয়েছেন, তাই আমার প্রশ্ন বাংলাদেশের এই উন্নতি কী করে সম্ভব হয়েছে?”

মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। কেবল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্যই নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধিসহ তাঁদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রেলে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণের সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার, যা এখন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

এসব পদক্ষেপের কথা সবার জানা থাকা সত্ত্বেও যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য ও মহিলা আসন-২৩-এর সংসদ সদস্য পিনু খান প্রশ্ন করেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে কোনো বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কি না? করলে পদক্ষেপগুলো কী?’ তার এই প্রশ্নের প্রথমাংশের পর হুবহু মিলে যায় যশোর-৫ আসনের এমপি স্বপন ভট্টাচার্য্যের প্রশ্নের সঙ্গে।

তার প্রশ্ন, ‘বর্তমান সরকার দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণে কোনো বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কি না; করলে, উহা কী; এবং চাকুরিজীবীদের চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে কি না?’ যদিও গত ১৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়স ৬০ বছর থেকে বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ হয়ে গেছে। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে সংসদ সদস্যদের কয়েকজন জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছেন। সম্প্রতি পুলিশের সদস্যদের হাতে সাধারণ নাগরিক হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মতিন ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। বড় ভূমিকম্পের আঘাত মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন রাজশাহী-৫-এর সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ। -কালেরকণ্ঠ
৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে