বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৩:১২:৪১

ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত

ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে অল্প পরিমাণে আমদানি করা হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা এই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রতি পিস ডিম এখন থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ সময়ে ডিম আমদানির সিদ্ধান্তের কথাও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাজার পর্যালোচনা করে সীমিত আকারে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। যদি ডিম প্রতি পিস ১২ টাকায়ই খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হয়, তাহলে আমদানির বিষয়টি অত গুরুত্ব পাবে না, সীমিত আকারে করা হবে। কিন্তু দাম ১২ টাকায় সীমিত না থেকে যদি বাড়ানো হয়, কিংবা সুযোগ নেওয়া হয়, তাহলে বেশি করে আমদানি করা হবে। বাজার ঠিক রাখার জন্যই আমদানি করা হবে।

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবে। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরগুলোতে এই মনিটরিং চলবে। আজকের ঘোষণার পরে সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দামি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ মজুত করার সুবিধা নেই। কিন্তু ডিমের ক্ষেত্রে বড় সুবিধাটা রয়েছে, সেটা হলো ডিম আমরা আমদানি করতে পারবো। এতে বাজারের বাড়তি দামের প্রভাবটা কমানো সম্ভব। ডিমের দাম যে ১২টা ঠিক করা হয়েছে, এটি খুবই ন্যায্য। কোনো অবস্থাতেই এটা কম না, যথেষ্ট ভালো দাম।

এদিকে আলু ও পেঁয়াজের দামও বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আলুর দাম হবে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা ভোক্তা পর্যায়ে। আর পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার মাঠে থেকে এটি মনিটরিং করবেন।

সয়াবিন তেলের দাম পাঁচ টাকা কমে আসবে বলেও জানান মন্ত্রী। টিপু মুনশি বলেন, বাজারে কোনো কারণ ছাড়াই অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন ন্যায্যদাম কার্যকর করবো।

চলতি বছরের আগস্ট মাসে খাদ্যখাতে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কথা জানায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগের মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে প্রকাশ করা হয়।

বিবিএসের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, আগস্ট মাসে খাদ্যপণ্য মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। ২০২০ সালে খাদ্য খাতে ১০০ টাকার পণ্যে ৫ টাকা ৫৬ পয়সা বৃদ্ধি হয়েছিল। একই পণ্যে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বেড়েছে ১২ টাকা ৫৪ পয়সা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে