এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনে হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারপ্রধান এই ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শনিবার (২১ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের শোক দিবস ঘোষণা করেছি। সেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসরায়েল যেভাবে হাসপাতাল হামলা করে নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, আমরা একটা নিন্দা জানিয়েছি। আমাদের কথা হচ্ছে, দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিরা তাদের ন্যায্য জায়গা যেন ফেরত পায়, যে জায়গাগুলো দখল করছে তাদের দিতে হবে। সেখানে শুধু মুসলমান নয়, খ্রিষ্টান, ইহুদি অনেকেই ছিল, যারা মারা গেছেন। আমি অনুরোধ করব আগামী শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দেশের প্রত্যেকটা মসজিদে যেন জুমার পরে এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য দোয়া এবং প্রার্থনা করা হয়।
ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা পাঠানোর কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ফিলিস্তিনের আজকের যে শিশু ও নারী আহত রয়েছে, তাদের জন্য ইতোমধ্যে আমি আমার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলে দিয়েছি ওষুধের ব্যবস্থা করতে। আমাদের অফিস থেকে যোগাযোগ করে তাদের জন্য কিছু শুকনো খাদ্য বা শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য আমরা পাঠাব। সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিচ্ছি।
ফিলিস্তিনের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু সামর্থ্য থাকুক, আমরা দুর্গত মানুষের পাশে আছি। ওআইসির যারা রাষ্ট্রদূত আছে তাদের সাথে আমরা গতকাল বৈঠকে বসেছি। সেখানে বলেছি, সকলকে এক হয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। বারবার তাদের ওপর আঘাত হানা। এটা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। এটা আমরা মানতে পারি না। আমরা যতটুকু পারি, আমরা করব।
এর আগে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে থাকার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। একই দিনে অপর এক অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতাদের এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গতকাল গাজার হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ ও শিশুদের হত্যা এবং শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখেছি। আমি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি- যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা কখনই মানবজাতির জন্য ধ্বংসের পরিবর্তে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হোক।