এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চট্টগ্রামবাসীর স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পর এবার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের।
আগামী ১৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের কথা রয়েছে। ফলে সত্যি হচ্ছে চট্টগ্রামবাসীর আরেকটি স্বপ্ন।
এছাড়াও একই দিন উদ্বোধন করা হবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাকলিয়া অ্যাক্সেস রোড ও ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক।
যদিও নগরের লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। নির্মাণ হয়নি এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার র্যাম্পও।
তবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উদ্বোধনের পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যেটুকু কাজ বাকি আছে, তা উদ্বোধনের আগেই শেষ হবে। আপাতত পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আর টাইগারপাস থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত একটু সময় লাগবে। সেটাও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের লালখানবাজার থেকে টাইগারপাস মোড় পর্যন্ত পিলার তৈরি হয়েছে, তবে এখনও গার্ডার বসেনি। আর টাইগারপাস মোড় থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত একাংশে গার্ডার বসানো হয়েছে। বাকি অংশে চলছে গার্ডার বসানোর কাজ।
অপরদিকে, দেওয়ানহাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের ওপর সড়ক তৈরি হচ্ছে। কোনো অংশে করা হচ্ছে কার্পেটিং, কোনো অংশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। তবে বারিক বিল্ডিং থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।