মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩, ০৮:৩৬:৩১

ব্ল্যাক রাইস চাষে সাফল্য, বাম্পার ফলন!

ব্ল্যাক রাইস চাষে সাফল্য, বাম্পার ফলন!

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রংপুর মহানগরীর চব্বিশ হাজারির উত্তরপাড়া গ্রামে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মিলন রায় ২০ শতক জমিতে ব্ল্যাক রাইসের পাশাপাশি ২৫ শতক জমিতে বি-৫২ প্রজাতির ধান চাষ করছেন। 

বাম্পার ফলন, কালো ধান (ব্ল্যাক রাইস) চাষ করে সাড়া ফেলেছেন। প্রতিদিন তার এ ধানক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ জাতের ধান চাষে সাফল্য দেখে অনেক কৃষকরাই ব্ল্যাক রাইস চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

এদিকে এলাকাবাসী জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালো ধানের চাষ হলেও এই এলাকায় প্রথম। এলাকায় নতুন জাতের ধান চাষ দেখতে মিলনের খেতে ভিড় করছেন তারা। ব্ল্যাক রাইস ধান গাছ প্রথমে সবুজ থাকলেও পাকার সাথে সাথে তা কালো হতে শুরু করে।

এ চাল দামেও তেমন, পুষ্টিগুণেও তেমন ভরপুর। উদ্যোক্তা মিলন রায় জানান, ইউটিউবে প্রথম এ ধানের ধান চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন। পরে ৫শ’ টাকা দিয়ে পঞ্চগড় থেকে ২ কেজি বীজ ধান কিনেছিলাম সাবেক একজন সেনা সদস্যর কাছ থেকে।

কালো ধান নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন এই ধান চাষে। তিনি বলেন, ব্ল্যাক রাইসকে স্বাভাবিক ধানের মতই পরিচর্যা করতে হয়। অতিরিক্ত কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন না হলেও অন্য ধানের তুলনায় অধিক লাভবান হওয়া যাবে। এ বছর পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেছেন।

বাণিজ্যিকভাবে এটি বিক্রির বিষয়ে অনেকটাই চিন্তিত। উৎপাদিত এই চাল কোথায় বিক্রি করবেন তা জানেন না তিনি। কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেছেন কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কোন দফতরেই যোগাযোগ করেননি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রংপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, ব্ল্যাক রাইস রোপণের বিষয়ে আমাদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করেননি তিনি। ব্ল্যাক রাইস বিক্রির বিষয়ে কোন সহযোগিতা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে পাবেন কি না এ বিষয়ে তিনি জানান, এটি সম্পূর্ণ কৃষি বিপণন অধিদফতরের অন্তর্ভুক্ত। এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বিক্রি করা কঠিন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে