এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পেশা ছিল ডোম। ডোমেরা মূলত মৃতদেহ পরিচর্যা, ব্যবচ্ছেদ ও সেলাই করা এবং ময়নাতদন্তকাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধানের কাজে জড়িত। তাই লাশঘরেই বেশি সময় কাটত জসিমের।
এখন তার নজর থাকে রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে। কখন কোন গাড়ি থেকে ছিনতাই করবে, এ ভাবনায় ওত পেতে থাকে সবসময়।
ডোমের পেশা ছেড়ে ছিনতাই কাজে জড়িয়েছেন ডোম জসিম (২৬)। একপর্যায়ে টোকাই, ভাসমান মাদকসেবীদের তার দলে নেওয়া হয়। এরপর তাদের মাদক সেবনের টোপ দিয়ে ছিনতাইয়ে নিয়ে যায়। নগদ টাকা, মোবাইল ফোন কিংবা ব্যাগ ছিনতাই করে আনতে পারলেই গাঁ'জা কিংবা ই'য়া'বা দেয়।
এই চক্রের চারজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে কাওরান বাজার সিএ ভবনের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জসিম ওরফে ডোম জসিম (২৬) এবং তার দুই সহযোগী মো. রাসেল ওরফে রিয়াজ (১৮) ও রাজীব (১৮)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, গ্রেপ্তার তিনজনই ছিনতাইকারী। ডোম জসিম এই দলের প্রধান। জসিম একসময় ডোম হিসেবে কাজ করত। পরে সে পেশা ছেড়ে ছিনতাই শুরু করে। একসময় অন্যের হয়ে কাজ করলেও পরে নিজেই একটি দল গঠন করে জসিম।
গ্রেপ্তারকৃত তিনজন ব্যস্ত সড়কগুলোতে হাঁটাহাঁটি করেন। সিগন্যালে আটকে থাকা প্রাইভেট কার, বাসে বসে থাকা যাত্রীর মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় কেউ যদি তাদের আটকায় তাহলে তাদের ছুরি মেরে দেয় তারা। প্রতি ছিনতাইয়ের বিনিময়ে তাদের কয়েক পুরিয়া গাঁ'জা দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার ডোম জসিমের বিরুদ্ধে চারটি, মো. রাসেল ওরফে রিয়াজের বিরুদ্ধে তিনটি এবং রাজিবের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।