বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৯:১৫:৩৭

যেসব বিষয়ে কথা হলো ইইউ প্রতিনিনিধির সঙ্গে খালেদার

যেসব বিষয়ে কথা হলো ইইউ প্রতিনিনিধির সঙ্গে খালেদার

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রতিনিধি দলের চেয়ারপারসন জিন ল্যাম্বার্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সদস্য রিচার্ড হাউয়িট, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট পার্টির সদস্য ইভান স্টিফেন্স ও কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য সাজ্জাদ করিম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক, মানবাধিকার ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, বিচারবর্হিভুত হত্যাকাণ্ড, পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ, বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন, গুম-হত্যাকান্ড প্রভৃতি বিষয়ে  আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।  

বৈঠক শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ নিয়ে যে উদ্বেগ তার ওপরে আলোচনা হয়েছে।  দেশে বর্তমান রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক-আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চিত্র রয়েছে সেগুলো তারা উপলব্ধি করার জন্য আমাদের প্রশ্ন করেছেন।  আমরাও তাদের প্রশ্ন করেছি এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে আজকের এই ক্রান্তিলগ্নে যে গণতন্ত্র নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন সেই বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে।

তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে দেশে কোনো টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না।  পাশাপাশি ইউরোপের সাথে আমাদের পোশাক শিল্পের যে সম্পর্ক রয়েছে, তা যদি শক্তিশালী করতে হয়, তাহলে সরকারের যেমন ভূমিকা থাকে, তেমনি বেসরকারি খাতও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন্ করে থাকে।  নীতিগত বিষয়ে সরকারের যে ভূমিকা রয়েছে তা তখনই জোরদার হতে পারে যদি এখানে একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার থাকে।


মঈন খান বলেন, যে প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপরে সরকার রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে- এসব তো স্বাভাবিকভাবে আলোচনার বিষয়।  দেশে যদি গণতন্ত্র রাখতে হয়, তাহলে এভাবে তো হুমকি দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় না।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে এদেশে কত মানুষ নিখোঁজ হয়েেছে, কত মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত-আহত হয়েছে।  কত হাজার হাজার লোক কারারুদ্ধ হয়েছে।  কেবল মাত্র তাদের একটি অপরাধ তারা বিরোধী দল করে। এসব বিষয়ে আলোচনায় এসেছে।

বৈঠকের পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কিছু বলা হয়নি।
১১ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে