শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১২:৩৬:০৭

বাংলালিংকে গণ্ডগোল, প্রতিবাদে কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

বাংলালিংকে গণ্ডগোল, প্রতিবাদে কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

নিউজ ডেস্ক : এক সহকর্মীকে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রাজধানী গুলশানে বাংলালিংক প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে প্রধান টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (সিটিও) পিরিহেনি এলহামি তার কক্ষে আটকে ছিলেন।

রাত পৌনে ১১টায় দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় দুইশ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী সিটিও এলহামিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তারা জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়ার চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

প্রস্তাবিত বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জ্বল পাল বলেন, কর্মচারী ইউনিয়ন গঠনে যুক্ত থাকায় শরিফুল ইসলামের উপর খড়গহস্ত হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তিনি জানান, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলালিংকে ইউনিয়ন করার বিষয়টি অবহিত করে একটি প্রস্তাবিত কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। শরিফুল ইসলাম প্রস্তাবিত কমিটির একজন সদস্য।

তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কর্তৃপক্ষ শরিফুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে চাকরিচ্যুতির চিঠি ধরিয়ে দেয়। এর পর থেকে আমরা সিটিওকে আটকে রেখেছি। শরিফুলকে চাকরিতে বহাল না করা পর্যন্ত আমরা তাকে অফিস থেকে বের হতে দেব না।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলহামি বের হতে চাইলে প্রধান ফটকে আটকা পড়েন। বিক্ষোভের মুখে প্রায় আধা অবস্থানের পর ভেতরে ঢুকে যান তিনি।

রাত পৌনে ১১টার দিকে গুলশান থানার ওসিকে বাংলালিংক কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায়। বাইরে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যও অবস্থান নিয়েছেন। ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে আমরা এখানে এসেছি। আমরা বাংলালিংক কর্তৃপক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের অনুরোধ করেছি।

বাংলালিংকে সিটিও পদে এই নারী কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ থেকে রয়েছেন। এই বিষয়ে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চাকরিচ্যুত শরিফুল ইসলাম ভুঁইয়া ২০০৫ সালের ১ অক্টোবর বাংলালিংকে যোগদান করেন। এর আগে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ হলেও কোন টেলিকম প্রতিষ্ঠানে এটাই প্রথম চাকরি ছিল। 

জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি ৭১৯ জন কর্মী নিয়ে ‘বাংলালিংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন’ বা বিএলইউই গঠন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি উজ্জ্বল পাল ও সাধারণ সম্পাদক মো. বখতিয়ার হোসেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধনের জন্য শ্রম পরিচালক বরাবরে আবেদন করেন। এরপর থেকেই বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ ট্রেড ইউনিয়নে অংশগ্রহণকারিদের নজরদারিতে রেখেছে।

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস  

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে