এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আগামী ২০ রমজানের পর থেকে আর মাংসের ব্যবসা করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। সোমবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমে মতবিনিময়ের সময় এই ঘোষণা দেন তিনি।
খলিল কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় এসেছেন। তার দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতান’ রোজার প্রথম দিন থেকে কেজিপ্রতি ৫৯৫ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করছিল।
সেদিন থেকে তার দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যায়। কিন্তু ১০ রোজা না যেতেই প্রতি কেজি মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন খলিল।
গত রবিবার (২৪ মার্চ) বাড়তি দাম থেকে সরে এসে আবারও ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি শুরু করেন খলিল। তবে এক দিন পরেই মাংস ব্যবসা করবেন না বলে ঘোষণা দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খলিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যেসব মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এত কিছু করলাম, তারা কেউ বর্তমানে আমার পাশে নেই। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম এত দিন আমার পাশে থাকলেও এখন আর পাশে নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। তাই আমি আর মাংস ব্যবসা করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ‘কথা দিচ্ছি, আগামী ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না। জীবনেও আমি আর মাংস ব্যবসা করব না।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এত দিন লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম মূল্য আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।’
কম মূল্যে মাংস বিক্রির কারণে খলিলুর রহমানকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পাশাপাশি অনেক বিতর্কও রয়েছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নিম্নমানের মাংস বিক্রিরও অভিযোগ ওঠে। ক্ষুব্ধ ক্রেতার সঙ্গে মারামারির ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে। কেউ কেউ বলছেন, রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিতে কম মূল্যে আলোচনায় থাকতে চেয়েছেন তিনি।