এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (হাইস্কুল) শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। চার বছরের ব্যবধানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। একই সময়ে মাদরাসায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী বেড়েছে। শিক্ষার্থী বেড়েছে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতেও।
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’-এর খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ব্যানবেইসে আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এরপর এটি চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর।
খসড়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী—২০১৯ সালে সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখের বেশি, যা ২০২৩ সালে এসে কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজারে। দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৮টি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি ছাত্রী। মোট শিক্ষার্থীর ৪৫ শতাংশ ছাত্র এবং ৫৫ শতাংশ ছাত্রী।
তথ্য বলছে, একই সময়ে (২০১৯-২০২৩) মাদরাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। ২০২৩ সালের তথ্যানুযায়ী—মাদরাসায় অধ্যয়ন করছেন শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এরমধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।
এদিকে, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। তবে কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। মোট শিক্ষার্থীর ৭১ শতাংশই ছাত্র। বাকি ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।
ব্যানবেইসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। এতে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। চার বছর আগে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ২৬ হাজারের বেশি।
কর্মশালায় ব্যানবেইস কর্মকর্তারা বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেসব তথ্য তারা পেয়েছেন, সেগুলোর প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন। তবে ঠিক কী কারণে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী কমেছে, তা বিশ্লেষণ করেনি ব্যানবেইস।
কর্মকর্তাদের ধারণা, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী সাধারণ ধারার পড়াশোনা ছেড়ে ভিন্ন ধারায় চলে গেছে। অনেকে রুটি-রুজির তাগিদে অল্প বয়সে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছে। এতে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমেছে।