বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ০৭:৫৯:১২

গ্রাম নাকি শহর, যেখানে তালাকের হার বেশি

গ্রাম নাকি শহর, যেখানে তালাকের হার বেশি

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : প্রেম, ভালোবাসা অতঃপর বেশ ঘটা করে বিয়ে। পাশাপাশি থাকার শপথ নিয়ে বিয়ে করলেও আদতে সবাই একসঙ্গে জীবেনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারে না।

শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের পথ বেছে নেয় অনেকে। তবু মানুষ ভালোবাসে, বিয়ে করে, সংসার সাজায়, বিচ্ছেদ করে আবার নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নতুন তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশে বিয়ের হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে তালাকের হারও। ২০২৩ সালে দেশে বিয়ের হার ছিল (প্রতি হাজারে) ১৫.৭, যা ২০২২ সালে ছিল ১৮.১। আর ২০২১ সালে ছিল ১৩.৫।

অন্যদিকে তালাক দেওয়ার হারও কমে ১.১ শতাংশ হয়েছে, ২০২২ সালে যা ছিল ১.৪ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল ০.৭ শতাংশ। বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০২২ সালে বিয়ে বেশি হওয়ার বিষয়ে সমাজ বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ২০২০-২১ সময়কালে করোনা মহামারির কারণে অনেক বিয়েশাদি হয়নি।

করোনা-পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে তাই বিয়ের হার বেড়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় তা কমেছে।

গ্রামে তালাক বেশি
বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে ছিল প্রতি হাজারে বিয়ে ১২, গ্রামে এই হার ১৬.৮। ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল ১৩.৮ আর গ্রামে ১৯.৫।

আবার অপরদিকে তালাকের হার গ্রামে বেশি, ২০২৩ সালে ছিল ১.১ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ১.৪ শতাংশ। আর শহরে এ হার ০.৯ শতাংশ, এক বছর আগে ছিল ১.০ শতাংশ।

তালাকের কারণ
বিবিএসের জরিপের দেখা যায়, তালাকের বড় কারণ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ দেখিয়েছেন। এর পর রয়েছে দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতাকে কারণ হিসেবে বলেছেন ২২ শতাংশ। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অক্ষমতা অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে তালাকের কারণের তালিকায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে