এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রোজার মাসে সবজির দাম কমতে থাকলেও মাংসের বাজার রয়েছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সরকার মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তাও বেড়ে চলেছে দাম।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দেড় কেজি ওজনের নিচের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২১৫ টাকায়। মুরগির মাংসের দাম এক লাফে এতো বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা ছিলেন নিরুত্তর। অন্যদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৭৮০ টাকা করে।
রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচা বাজারে আজ সবজির সঙ্গে মাছের দামও কিছুটা নিম্নমুখী। এছাড়া মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, রোজার মাসে সবজি কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এটা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে বলতে হবে।
মুরগির দাম কেন বাড়লো এর কারণ বলতে পারেননি কোনও বিক্রেতাই । এদিকে সবজির বাজার যখন ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তির সুবাতাস দিচ্ছিলো ঠিক তখনই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। ঈদের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তে শুরু করেছে। আজ ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ২০২-২৪০ টাকা, কক মুরগি ৩০২-৩১২ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬২০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১৫ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯৫-২১৫ টাকা করে। আজ দেড় কেজি ওজনের নিচের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। আর এর ওপরে ওজনের মুরগির দাম শুরু হয়েছে ২০২ টাকা থেকে।
মুরগির দাম একলাফে এতো বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে বিভিন্ন দোকানির সঙ্গে কথা বললে তারা সবাই ছিলেন নিরুত্তর। কেউ এর কোনও জবাব দিতে চাননি। একজন বিক্রেতা শুধু বলেছেন, ‘রেট বেশি থাকলে আমরা কী করবো? এদিকে মুরগী কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন ঈদ আসছে বলেই এখন মুরগির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
আরেফিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ব্রয়লার মুরগি বড় সাইজেরগুলোর কিন্তু স্বাদ কম। তাই ওগুলোর দামও কম। ছোট মুরগির চাহিদা বেশি বলেই ওইটার দাম বেশি।
আরেক ক্রেতা এজাজ রহমান বলেন, ঈদ আসার আগেই আবার খেলা শুরু। মুরগির দাম এক ধাক্কায় বেশি করে বাড়িয়ে পরে ৫ টাকা করে কমাবে। এই সিস্টেম তো আমাদের আর অজানা না।
অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত দামের তোয়াক্কা না করেই আজও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। উল্লেখ্য, সরকার গরুর মাংসের কেজি ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। কিন্তু কোনও দোকানে এই মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়নি।