এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্যান্য বছরের তুলনায় শীতের মৌসুমে এবার হবিগঞ্জে সবজির দাম ছিল অনেকটা বেশি। তবে ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়াতে এবং সরবরাহ বেশী থাকায় এখন অনেকটা সস্তা দামে বিক্রি হচ্ছে টাটকা সবজি।
রোববার (৩১ মার্চ) হবিগঞ্জের কোর্ট স্টেশন এলাকার চাষী বাজারসহ বেশ কয়েকটি পাইকারি বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, রমজানের কারণে চাহিদা কম ও সরবরাহ বেশী থাকায় কমেছে সবজির দাম। এতে অনেকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে প্রচুর সবজির সরবরাহ রয়েছে। সে তুলনায় ক্রেতা একেবারেই কম থাকায় দামে অনেকটা ভাটা পড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় শীতের মৌসুমে এবার হবিগঞ্জে সবজির দাম ছিল অনেক বেশি। এতে সাধারণ ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হয়েছে সবজি ক্রয় করতে।
তবে রমজানের শুরু থেকে চাহিদা কম থাকায় কমতে শুরু করে সবজির দাম। প্রকারভেদে প্রতিকেজি সবজিতে দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এদিন কেজিপ্রতি টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকায়, সিম বিক্রি হয়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়, সিম বিচি ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে, প্রতি পিস ফুলকপি ২০ টাকায় এবং প্রতি পিস লাউ ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া এদিন আলু কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই বাজারে।
বিষমুক্ত দেশীয় সবজির সবচেয়ে বড় বাজার বসে হবিগঞ্জের কোর্ট স্টেশন এলাকার চাষী বাজারে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা জমি থেকে সবজি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। এখান থেকে সবজি ক্রয় করে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
নিরাপদ সবজি কিনতে সকাল থেকে খুচরা ক্রেতারাও আসেন এখানে। জেলার সবচেয়ে বড় এ বাজারে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার সবজি বেচাকেনা হয় বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, বাজারে ক্রেতা না থাকায় পানির দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কৃষকরা জানান, পরিবহনে যে খরচ হচ্ছে, সেই টাকাও উঠছে না সবজি বিক্রি করে।
চাষি বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি সফিক মিয়া জানান, বাজারে ক্রেতা নাই, তাই কৃষকরা দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। তবে রমজানের পর এ অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।