শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০২:০২:৫০

ছাত্রদল নেতারা এবারও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

ছাত্রদল নেতারা এবারও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

নিউজ ডেস্ক : এবার বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে নেবেন ছাত্রদলের সাবেক শীর্ষ নেতারা। সর্বশেষ বুধবার দলীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যেও এমন আভাস মিলেছে।

তিনি বলেছেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতৃত্ব নিয়ে আসার কথা। যারা ছাত্রদলে বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের নেতৃত্বে আনা হবে। সিনিয়র নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ মনোভাব থেকেই এ মন্তব্য করেন বিএনপিপ্রধান।

জানা যায়, ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের বড় একটি অংশই বিএনপির সাংগঠনিক মূল চালিকাশক্তির ভূমিকায় থাকবেন। ছাত্র নেতাদের কেউ কেউ দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফোরাম ভাইস চেয়ারম্যান পদেও জায়গা করে নিতে পারেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক থেকে শুরু করে সম্পাদকীয় ও সহ-সম্পাদকের পদেও জায়গা করে নেবেন সাবেক ছাত্রনেতারা। তবে দু-একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সূত্রমতে, ছাত্রদলের প্রথম আহ্বায়ক কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ, বর্তমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ঠাঁই পেতে পারেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদে। বর্তমান আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ ও রুহুল কবির রিজভীর মধ্যে যে কেউ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদ পেতে পারেন।

অবশ্য ওই পদে বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানও জায়গা করে নিতে পারেন। একজন যুগ্ম মহাসচিব হলে বাকি তিনজনই বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেতে পারেন। তবে তাদের মধ্যে দু-একজন স্থায়ী কমিটিতেও স্থান পেতে পারেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিএনপির বর্তমান শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন যুগ্ম মহাসচিব পদে জায়গা করে নিতে পারেন। আবার যুবদলের সভাপতি হওয়ার গুঞ্জনও আছে। সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম ও আ ন ম এহছানুল হক মিলনও জায়গা করে নিতে পারেন যুগ্ম মহাসচিব পদে।

যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও ঠাঁই পেতে পারেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদে। দলের স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক পদ পেতে পারেন। বিএনপির সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেতে পারেন। অবশ্য সেখানে সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান শামীমও ওই পদপ্রত্যাশী।

সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীও যুবদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী। তবে সেটা কোনো কারণে সম্ভব না হলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব পদেও জায়গা করে নিতে পারেন তিনি। সাবেক ছাত্রনেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলও ঠাঁই পেতে পারেন যুগ্ম মহাসচিব পদে। তবে ঢাকা মহানগর বিএনপি দুই ভাগ হলে একাংশের সভাপতিও হতে পারেন স্বেচ্ছাসেবক দলের এই সভাপতি। বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দৌড়ে আছেন এ বি এম মোশাররফ হোসেন ও আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান।

সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফুল আলম নীরব, আবদুল খালেক, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আবদুল বারী ড্যানী, এস এম জিলানী, মুনির হোসেন, মাহবুবুল হক নান্নু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবদুল আওয়াল খান অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ে কিংবা বিএনপির সম্পাদকীয় পদে চলে যেতে পারেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হতে পারেন শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে পারেন আমিরুল ইসলাম খান আলিম কিংবা আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল।

এ ছাড়া সাবেক ছাত্রনেতা শহীদুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, জয়ন্তু কুমার কুণ্ডু, মোস্তফা খান সফরী, একরামুল হক বিপ্লব, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ, নূরুল ইসলাম নয়ন, হায়দার আলী লেলিন, হাসান মামুন, আবদুল মতিন, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ওবায়দুল হক নাসির, ওমর ফারুক শাফিন আমিরুজ্জামান খান শিমুল, কামাল আনোয়ার আহম্মেদ, আবু বকর সিদ্দিক, শেখ শামীম প্রমুখ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে নিতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘সাবেক ছাত্রনেতাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। এবার বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা পাবেন সাবেক ছাত্রনেতারা। তবে দু-একজন ছিটকেও পড়তে পারেন বিগত সময়ে আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে। তবে এর সংখ্যা খুব বেশি হবে না।’ বিডি প্রতিদিন
 
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে