এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আবারো শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। গত ৬ দিন অর্থাৎ চলতি মাসের ৯ মে বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ মে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশের বন্ধু দেশ ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ এসেছে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সমির চন্দ্র ঘোষ। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক থাকলে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা বা কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না।
স্থলবন্দর ও আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের মোদি সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত ৫ মাস ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। তবে চলতি মাসের ৪ মে শনিবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে ৫ মে রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) আবেদন করেন আমদানিকারকরা। ফলে ৯ মে বৃহস্পতিবার থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার পুরাতন বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকে তাহলে সামনে কোরবানির ঈদের বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না।
এ সকল তথ্য নিশ্চিত করে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমির চন্দ্র ঘোষ বলেন, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাঁচ দিন পর থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ শুল্ক স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে শুরু হয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) পর্যন্ত ৬ দিনে ২১টি আইপি’র মাধ্যমে মোট ৯৯৭ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে বর্তমানে রকমভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দামে কোনোই প্রভাব পড়বে না।