রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১১:৫৩:০৮

পাঁচ ব্যবসায়ীকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

পাঁচ ব্যবসায়ীকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিউজ ডেস্ক : হলমার্ক কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ৫ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তারা হলেন- রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত মাস টেক্সটাইল অ্যান্ড স্পিনিং ইন্ডাস্ট্রিজ ও কটোন করপোরেশনের ব্যবসায়ীক দুই পার্টনার মো. শহিদুল ইসলাম ও সাব্বির আহমেদ, একই প্রতিষ্ঠানের এমডি মো. মাহবুবুল হক ভূইয়া, সমতা টেক্সটাইল অ্যান্ড স্পিনিংয়ের ব্যবসায়ীক পার্টনার মো. লুৎফর রহমান ও হেলাল উদ্দিন, একই প্রতিষ্ঠানের এমডি মো. সেলিম মোর্শেদ এবং তানিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক একেএম মারুফ রেজা।

রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদিন শিবলীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের অনুসন্ধান টিম।

টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঁঞা, সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত, সেলিনা আখতার মনি, উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। হলমার্ক ও তার পাঁচ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেডসহ মোট ৩,৪৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ছিল। এর মধ্যে ফান্ডেড অংশের তদন্ত শেষ করেছে কমিশন। এ অংশে দায়ের করা মোট ৩৮টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চার্জশিট আদালতে দাখিল করে কমিশন।

২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রায় পৌনে দুই বছর পর হলমার্ক কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড অংঅংশের (দ্বিতীয় শ) প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে অনুসন্ধান টিম পুর্ণগঠন করা হয়।

সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপসহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইস্যুকৃত ব্যাংক-টু-ব্যাক এলসির এক্সেপ্টেন্সের বিপরীতে নন-ফান্ডেড দায়সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম পুনর্গঠন করে কমিশন।

হলমার্কের নন-ফান্ডেড অংশের এ অভিযোগ কমিশনের ‘সিডিউলভুক্ত অপরাধের’ তালিকায় থাকা সত্ত্বেও অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন এ অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। প্রায় দেড় বছর অনুসন্ধান বন্ধ থাকার পর ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে অনুসন্ধান পুনরায় শুরু হলেও নানা জটিলতায় অনুসন্ধানের কাজে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধান টিম পূর্নগঠন করায় অনুসন্ধানে গতি আসে।

৩৭টি ব্যাংকের ১২০টি শাখায় হলমার্কের নন-ফান্ডেড অংশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সব ব্যাংক থেকে হলমার্ক নগদ হাতিয়ে নিয়েছে ১,৫৩৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

নন-ফান্ডেড অংশের জালিয়াতিতে আক্রান্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সরকারি সাতটি, বেসরকারি ২৫টি ও বিদেশি পাঁচটি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকর সঙ্গে হলমার্ক সুতা, তুলা, ফেব্রিক্স এবং এক্সেসরিজ সরবরাহ করেছে মর্মে জালিয়াতি করা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে