বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪, ১০:০৯:৩৬

হিলি স্থলবন্দরে কাঁচা মরিচের দাম কমে কত হলো জানেন?

হিলি স্থলবন্দরে কাঁচা মরিচের দাম কমে কত হলো জানেন?

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চাহিদা তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে হিলি স্থলবন্দরে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রতি কেজিতে কমেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

সোমবার (৮ জুলাই) বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা থেকে ১৫৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হলেও মঙ্গলবারে (৯ জুলাই) তা কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে রোববার (৭ জুলাই) পাইকারিতে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল কাঁচা মরিচ। 

আমদানি করা কাঁচামরিচের দাম কমায় খুশি বন্দরে কাঁচামরিচ কিনতে আসা পাইকাররা।

হিলি স্থলবন্দরে কাঁচামরিচ কিনতে আসা পাইকার ছিদ্দিক বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় অতিরিক্ত বন্যা ও খরার কারণে কাঁচা মরিচ আবাদের ক্ষতি হয়। এতে ব্যাহত হয় উৎপাদন। ফলে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমায় দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। দাম বেড়ে ২০০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে যায়। চাহিদা থাকায় হিলি স্থলবন্দর এসেছি কাঁচা মরিচ কিনতে। প্রতিদিন ১-২ গাড়ি করে কিনে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই কাঁচা মরিচের আমদানি যেমন বাড়ছে তেমনি দাম কমতির দিকে। বর্তমানে দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় নেমেছে। সোমবারও কাঁচা মরিচ ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। দাম কমায় আমাদের বেশ সুবিধা হয়েছে, পুঁজি কম লাগছে। তেমনি মানুষও কম দামে খেতে পারছে।’

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক সাহাবুল ইসলাম জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র গরমে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় পণ্যটির সরবরাহ কমে গিয়েছিল। ফলে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল। দাম লাগালের মধ্যে রাখতে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর থেকেই দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। ভারত থেকে আমদানির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন কাঁচা মরিচ উঠতে শুরু করায় দাম কমতির দিকে।’

তিনি আরও জানান, আমদানি করা কাঁচা মরিচ ১০০ টাকার মধ্যেই ছিল। তবে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া অতিবৃষ্টি আর বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারো কাঁচা মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমে যায়। একইভাবে ভারতেও অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা বাড়ায় দেশের বাজারেও এর দাম বাড়ছিল। এমন অবস্থায় দেশের বাজারে চাহিদা ও দাম বাড়ায় ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেন বন্দরের আমদানিকারকরা। বন্দরের ছোট বড় সব আমদানিকারক কাঁচা মরিচ আমদানি করায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়েছে। এতে দামও কমতে শুরু করেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে প্রতি টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যে আর প্রতি কেজি কাঁচামরিচ আমদানিতে সরকারকে ৩৫ টাকা শুল্ক দিতে হচ্ছে। তবে কাঁচা মরিচ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমে আসবে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ দিন বন্ধের পর গত ২৩ মে থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এর পর থেকেই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানির পরিমাণ উঠানামা করছে। আগে বন্দর দিয়ে ৫ থেকে ৭ ট্রাক করে কাঁচা মরিচ আমদানি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ১০ থেকে ১২ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার একদিনেই বন্দর দিয়ে ১২টি ট্রাকে ১২১ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। মঙ্গলবারও বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আর কাঁচামরিচ যেহেতু একটি কাঁচাপণ্য বৃষ্টিতে ও রোদ বা গরমে দ্রুত পচে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা কাঁচা মরিচ খালাস করে নিতে পারেন সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে