এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চাঁদপুরে পাইকারি বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম আছে ঠিকই। কিন্তু এমন ভরা মৌসুমে বাজারে বেশ চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। এরমধ্যে আবার কারফিউ। তাই আকারভেদে দামও অনেকটা চড়া।
চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে ঘুরে দেখা গেছে ইলিশের অপর্যাপ্ততা। তারমধ্যে আবার কারফিউসহ বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে বিপাকে রয়েছে। তারপরও এই বাজার ধরতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটছেন বেপারীরা।
শনিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা দাম হাঁকছেন ইলিশের। আর আকারভেদে সেই ইলিশ দেখতে মোকমে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুরের বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজার। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তাই বাজারে যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বেপারীরা। ফলে ক্রেতা সামাল দিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে সরবরাহ কম থাকার প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে।
নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাট থেকে চাঁদপুরে ইলিশ নিয়ে আসা বেপারী মনির হোসেন জানান, সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে সেই একই চিত্র। এমন পরিস্থিতিতে ভালো দাম পেতে উপকূল থেকে ইলিশের চালান নিয়ে আসছেন বেপারীরা। সাগরেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে ছোট ও মাঝারির চেয়ে বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শবেবরাত জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন কিংবা অফলাইন এমনকি চাঁদপুরের বাইরে দেশের অন্য কোথাও ইলিশের বাজার ধরা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে এই মুহূর্তে আর্থিক সঙ্কটের মুখে মাছ ব্যবসায়ীরা। তারপরও যে পরিমাণ সরবরাহ। তার দরদামও বেশ চড়া। এতে মাছ ব্যবসা নিয়ে ব্যবসায়ী নেতারাও অনেকটা হতাশ।
তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর বড়স্টেশন পাইকারি মাছ বাজারে ৮০০ থেকে ১ হাজার মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। অথচ অন্যবছর একই সময় পাইকারি এ বাজারে সরবরাহ হতো আড়াই থেকে ৩ হাজার মণ ইলিশ। আর আকারভেদে এসব ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১৫০০ টাকা থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত।