শুক্রবার, ০২ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:৪৭:২৪

ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ, মারা গেছে অর্ধ শতাধিক

ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ, মারা গেছে অর্ধ শতাধিক

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গাইবান্ধায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগ। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত দুই মাসে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার। মারা গেছে অর্ধ শতাধিক। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক খামারিরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও সময় নিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

জানা যায়, জেলার ৭ উপজেলায় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ। এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা। ব্যাপক ভাবে গরুর এ রোগ দেখা দেয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে জেলার কৃষকরা।

গরুর মালিকরা জানান, আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর, ব্যথা ও গলা ফুলে যায়, খাবারে অরুচি দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার গুটি বা ফোস্কা ওঠে, পায়ে এবং শরীরের নিম্নাংশে পানি জমে ফুলে যায়। এক পর্যায়ে গুটি বা ফোস্কা ফেটে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এ রোগ এক গরু থেকে ছড়িয়ে পড়ছে অন্য গরুতে। আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করেও মিলছে না তেমন সুরাহা। অধিকাংশ গরু মারা যাচ্ছে। চিকিৎসা করেও রোগ না কমায় হতাশায় পড়েছে জেলার খামারি।

জেলার ফুলছড়ি উপজেলার গুনভড়ি গ্রামের রনি জানান, হঠাৎ গরুর জ্বর আসে এরপর গায়ে ও গলার পাশে ফোস্কা উঠে গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তেমন খাবার খাচ্ছে না দুর্বল হয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দিয়ে লাভ হচ্ছে না।

পলাশবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্ধা গ্রামের সাথি বেগম জানান, স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওনোর পরও কোন লাভ হয়নি। প্রায় ২৫ দিন চিকিৎসা করার পর গরুর সম্পূর্ণ গা ফেটে গন্ধ বের হওয়ায় জবাই করে মাটি চাপা দিতে হয়েছে। নতুন করে আবারও তার আরেকটি গরু আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে এ রোগ থেকে গবাদি পশুকে বাচাঁতে এন্টিবাইটিকের ব্যবহার বন্ধসহ কৃষকদের সচেতন ও গোয়াল ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান।

তিনি জানান, আক্রান্ত গরুকে স্বাভাবিক খাবারের পাশপাশি বেশী করে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। মুখে স্যালাইন খাওয়াতে না পারলে শরীরে পুশ করতে হবে। একাধিক ভ্যাটেনারি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসা দিতে হবে কোন ভাবেই স্থানীয় বা ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেয়া যাবে না।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে জেলায় গত দুই মাসে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৮৯০টি গরু এবং মারা গেছে ৬৭টি। বাস্তবে এ সংখ্যা কয়েকগুণ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে