মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১০:৪২:৩২

রান্নার কাজে জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ‘কালো মাটি’

রান্নার কাজে জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ‘কালো মাটি’

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে রান্না কাজে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এখন ব্যবহার হচ্ছে কালো মাটি। এর ফলে কালো মাটিও বিক্রি হচ্ছে ধুমছে। আর এই মাটি বিক্রি করে বাড়তি আয় করছে কয়েক হাজার মানুষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জেলার দিরাই-শাল্লা উপজেলার মেদি বিল, গুড়মাই বিল, শাপলার চর, চাতল বিল থেকে চানপুর, ফকিরপুর, আশ্রম, উজানধল, ও আমিরপুরে গ্রামের লোকজন কালো মাটি সংগ্রহ করছে। একইভাবে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার গজারিয়া নদীর তীরবর্তী অচিন্তপুর, রাজারগাঁও, চানপুর, লালপুর, গোবিন্দপুর, শাকতারপাড়, ভাতেরটেক, সোনাপুরসহ জেলার প্রায় সবকটি উপজেলার নদী, হাওর ও বিল থেকে কালো মাটি সংগ্রহ করা হয়।

কালোমাটি সংগ্রহকারীরা জানান, মাঘ মাসের শেষ দিক থেকে চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত কালো মাটি সংগ্রহ করা হয়। নদী, বিল বা হাওরে প্রথমে ৪-৫ ফুট মাটি খুঁড়লেই বের হয়ে আসে কালো মাটি। এ মাটি সংগ্রহ করে প্রক্রিয়ার পর ৩-৪ দিন রৌদ্রে শুকালেই জ্বালানির উপযোগী হয় কালো মাটি।

দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামের রাফসা বেগম বলেন, এক মৌসুমে একেকজন নারী একশ থেকে দেড়শ মণ কালো মাটি সংগ্রহ করতে পারেন। একই গ্রামের আনহার মিয়া বলেন, বর্ষাকালে তীব্র জ্বালানি সংকটে পড়েন হাওরপাড়ের মানুষজন। চারদিকে পানি থাকায় জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারেন না। তাই শুষ্ক মৌসুমে হাওরপাড়ের গৃহিণীরা সারা বছরের জ্বালানি জন্য বাড়িতে কালো মাটি সংগ্রহ করে রাখেন। এক বস্তা কালো মাটি বিক্রি হয় দেড়শ টাকায়।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, কালো মাটি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের ফলে কাঠ ও গ্যাসের ওপর চাপ কম পড়ে। এটি পরিবেশবান্ধব হলে হাওরাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে উপকৃত হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জেএম/আরএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে