ঢাকা : আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ৭০টি মামলায় মুক্ত হওয়ার পরও আরেকটি মামলা তার ঘাড়ের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, যা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। তিনি (মাহমুদুর রহমান) যদি এতোই অন্যায় করে থাকেন তবে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরে ফেলা হোক।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ।
এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।
তিনি বলেন, জামিনের পর তার মুক্তি পওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু হচ্ছে না। তার পেছনে কিছু একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কেউ অন্যায় করলে তার জন্য আইন আছে, বিচার বিভাগ আছে। বিরোধী মতাদর্শ দমনের জন্য তো রাজনীতির জন্ম হয়নি।
তিনি বলেন, সামনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কাউন্সিল হবে। এটা ভালো কথা। কাউন্সিল হলে দলগুলোর মধ্যে নতুন শক্তি সঞ্চার হবে। নেতৃত্বে নতুনত্ব আসবে। তাদের সবার মানসিকতার পরিবর্তন হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচরপতিকে অনুরোধ জানিয়ে এমাজউদ্দিন বলেন, কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবার আগে যারা কারাগারে আছেন তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন। এসময় তিনি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের মুক্তি দাবি করেন।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তার সাথে সেটি মানায় না। আমার বিরুদ্ধে যদি কেউ গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ করে, এর আগে আমি আমার মৃত্যু কামনা করব।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের আগে সবথেকে বেশি প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। তাতে আপনারা ব্যর্থ।
এসময় তিনি ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কয়েক ধাপে নির্বাচন হলেও ফলাফল একই দিনে দেয়া উচিত। এতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় থাকবে।
এম কে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নাগরিক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমত উল্লাহ, কল্যাণ পার্টির নেতা সাইদুর রহমান তামান্না, ওলামা দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
১৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম