এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকলেও গত আগস্ট মাসে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির চার শতাধিক ভিসা আবেদন পর্যালোচনা করেছে ভারত। তবে এ সময়ে মোট কতটি ভিসা দেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকলেও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে নির্দিষ্ট কিছু বিভাগে করা ৪০০টিরও বেশি ভিসা আবেদন পর্যালোচনা করেছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আগস্টে বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে ৪৩৪টি প্রিয়ার রেফারেল চেক (পিআরসি) কেস ক্লিয়ার করা হয়েছে। একই মাসে পাকিস্তানের ক্ষেত্রে এ ধরনের মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৭৮টি।
পিআরসি হলো এমন প্রক্রিয়া, যেখানে ভিসা ইস্যুর আগে গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করা হয়।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুমাস ধরে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো কেবল শিক্ষার্থীদের এবং জরুরি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যেতে ইচ্ছুক রোগীদের সীমিত সংখ্যক ভিসা পরিষেবা প্রদান করছে। জরুরি এসব ভিসাই মূলত পর্যালোচনা করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভারতে বেড়াতে যান। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য হিন্দুকে বলেন, গত বছর প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিককে ভিসা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত বাংলাদেশকে ১৫টি ক্যাটাগরিতে ভিসা দেয়, যার মধ্যে ‘জরুরি পরিষেবাও’ রয়েছে।