বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৪:২৭:৩৮

‘জয় প্রচন্ড মেধাবী, সে অনেক কষ্টে পড়াশোনা করেছে’

‘জয় প্রচন্ড মেধাবী,  সে অনেক কষ্টে পড়াশোনা করেছে’

নিউজ ডেস্ক : শেখ রেহানার স্বামী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক বলেছেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে নিয়ে যা হচ্ছে তা বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। যে অভিযোগে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা হলো সে অভিযোগ আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে আছে। বিচার হলে সবার হওয়া উচিত।

গত বুধবার প্রথম প্রহরে বেসরকারি চ্যানেল বাংলাভিশনের ‘নিউজ অ্যান্ড ভিউজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

শফিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, মাহফুজ আনাম এখন যে ভুলটা স্বীকার করেছেন তা আরও সাত বছর আগে করার দরকার ছিল। গণতান্ত্রিক সরকার আসার পর পর তিনি ভুল স্বীকার করতে পারতেন। তবে যাই হোক, তার এই ভুল স্বীকারের পর যা হচ্ছে তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

শেখ রেহানার স্বামী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মনে অনেক কষ্ট আছে। সে অনেক কষ্টে পড়াশোনা করে বড় হয়েছে। মায়ের প্রতি তার দুর্বলতা একটু বেশি। এজন্য সে একটা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ফেসবুকে। কিন্তু সে তো মামলা করেনি।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের এই সদস্য বলেন, জয় প্রচন্ড মেধাবী। আমার ছেলে ববি তার মেধার ধারেকাছেও না। সে আমেরিকার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর মতো যোগ্যতা রাখে।

তিনি বলেন, এখানে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কথা বলা হচ্ছে। মানহানি মামলা করা হচ্ছে। কিন্তু মানহানি মামলা তো করবে যার মান হারিয়েছে সে। এই মামলা সজীব ওয়াজেদ জয় করতে পারতো। কিন্তু যেভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হচ্ছে এটা কিভাবে হচ্ছে তা আমি জানি না।

শেখ রেহানার স্বামী বলেন, আমি নিজে সাক্ষী, হাসিনা আপা লন্ডনে হানিফ সাহেবকে ডেকে নিয়ে ঢাকা মহানগরের দায়িত্ব দিতে চাইলেন। কিন্তু হানিফ সাহেব বললেন, আমার টাকা পয়সা নেই, গাড়ি নেই। তখন শিল্পপতি জহুরুল ইসলামকে আপা বলে দিলেন, হানিফ সাহেবকে একটি গাড়ি এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ডোনেশন করতে। ১৯৯৪ সালে হানিফ সাহেব যখন মেয়র নির্বাচন করেন তখন আমি নিজে উনার ২১ দফা তৈরি করে দিয়েছি। হানিফ সাহেব অত্যন্ত ভদ্রলোক ছিলেন। কিন্তু তার ছেলে ওয়ান ইলেভেনের পর রীতিমতো বেয়াদবি করে কিংস পার্টিতে যোগ দিয়েছে। বিচার করলে আগে তার বিচার করা উচিত।

ওয়ান ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ‘গাদ্দারি’ করেছেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর জামাতা বলেন, তখন খালু (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান) আমাকে বললেন, তুমি আশরাফকে খবর দাও। আমি আমার ছেলে ববির মাধ্যমে আশরাফকে লন্ডনে খবর দিলাম। আশরাফ আসার পর খালু কিছুটা স্বস্তি পেলেন। তারা দলটাকে রক্ষা করলেন।

তিনি বলেন, যারা সে সময় বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন তাদের অনেককে হাসিনা আপা প্রথমবার মন্ত্রিত্ব দেননি। তিনি বলেছিলেন, আমি ক্ষমা করে দিলাম, তবে ভুলিনি। আজ সবাই মাহফুজ আনামের পেছনে লাগছেন কেন, ওই নেতাদেরও বিচার হোক।

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে