এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের ডলফিন জেটি এলাকায় জাহাজে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে তেলবাহী জাহাজটিতে অগ্নিকাণ্ডে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, বাংলার জ্যোতির ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা, চার্জম্যান নুরুল ইসলাম ও বিএসসি মেরিন ওয়ার্কশপের কর্মচারী মো. হারুণ।
এ বিষয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, কোস্ট গার্ড, চট্টগ্রাম বন্দর ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ফায়ার ফাইটিং করেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা জাতীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে। ‘বাংলার জ্যোতি’ অয়েল ট্যাংকারে প্রথমে বিস্ফোরণ ও পরে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন বিস্তারিত বললে তদন্তে বিঘ্ন ঘটবে। তবুও আপনাদের জানার জন্য বলছি। তারা তিনজন রশি অ্যাডজাস্ট করছিল। নিচের পেইন্ট স্টোর থেকে গ্যাস নির্গত হতে পারে। ইলেকট্রিক শর্টসার্কিট হতে পারে। তদন্ত টিম সবার সঙ্গে কথা বলে ও পর্যবেক্ষণ করে প্রকৃত কারণ বের করতে পারবে।
তিনি বলেন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল জাহাজে। তখন পাওয়ার সিস্টেম বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া, এত বড় অগ্নিকাণ্ড রোধ জাহাজের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্ভবপর ছিল না। আজ জাহাজে বড় কোনো মেরামত কাজ হচ্ছিল না। ছোটখাটো সমস্যা প্রায়ই সমাধান করি। জাতীয় অর্থনীতিতে এ জাহাজ বড় অবদান রাখছিল। নবীন ক্যাডেটদের ট্রেনিংয়েও এটি বড় ফ্যাক্টর। সিঙ্গেল মুরিং পাইপলাইন প্রকল্প চালু হলে অপরিশোধিত তেল লাইটারিংয়ের প্রয়োজন হবে না।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বিএসসি মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের কয়েকটি টাগবোট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের তিনটি স্টেশনের আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দুপুর দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, বিএসসির বহরে সাতটি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সমুদ্রগামী। বাকি দুইটি লাইটারিং করে অপরিশোধিত তেল। বিপিসির সব ক্রুড অয়েল আমরা পরিবহন করি। ১৯৮৭ সালে ডেনমার্কে তৈরি ‘বাংলার জ্যোতি’ জাহাজটি।