এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আবার আলোচনার পর ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটি কাজ শুরু করবে।
গতকাল সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফর-পরবর্তী বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেসসচিব বলেন, ছয়টি কমিশন আগামীকাল (আজ) থেকে কাজ শুরু করার কথা।
কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ আলোচনা করতে চাচ্ছে। আলোচনা করে উনারা চূড়ান্ত করবেন। আলোচনাটা খুব কুইক হবে এটুকু আমি বলতে পারি। আলোচনাটা হওয়ার পরই দেখবেন কমিশনের কাজ শুরু হচ্ছে।
আলোচনায় আওয়ামী লীগকে ডাকা হবে কি না তা উপদেষ্টা পরিষদ জানাতে পারবে। কারণ, তারাই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ৫০টির মতো মিটিং ছিল। এর মধ্যে ১২টা ছিল বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।
সবাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। সবাই বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাঁরা সাপোর্ট করেন এবং সরকারের সঙ্গে তাঁরা কাজ করতে ইচ্ছুক। আমি বলব এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই পজিটিভ একটি মাইলস্টোন ছিল।’
শফিকুল আলম বলেন, বিশ্ব নেতারা বলেছেন বাংলাদেশে যে রিফর্ম হচ্ছে, রাষ্ট্র মেরামতের চেয়ে বিশাল কাজ নেওয়া হয়েছে, তাকে তাঁরা পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। টেকনিক্যাল কাজ দিয়ে লিডার পর্যায়ে আলোচনা হয় না, ফুল সমর্থন দেওয়ার পর টেকনিক্যাল লেভেলে বা সেক্রেটারি লেভেলে এসব আলোচনা হয়।
কোনো প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে আলাপের পর যে ডিসিশন হয়, অফিসার লেভেলে যখন নামে তখন সিদ্ধান্তগুলো হয়।
তিনি বলেন, ছয়জন কমিশনারের নাম যেহেতু ঘোষণা হয়ে গেছে, আমি বলতে পারি, টেকনিক্যালি কমিশনের কাজ কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। পলিটিক্যাল পার্টি তো এখানে একটি স্ট্রাইক হোল্ডার। তাদের সঙ্গে একটু আলাপ হবে এবং সেখানে তাদের মতামত চাওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বনেতারা নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাননি। তাঁরা জানেন, বাংলাদেশের যে কাজগুলো হবে ইট উইল টেক টাইম। নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে কমিশনের রিপোর্ট এবং পলিটিকাল কনসালটেশন। তারপর টাইমের বিষয়টা আসে নির্বাচন কবে হবে। ১৬ মাস না ১৮ মাস, ১২ মাস না ছয় মাস-এটা আসলে ডিসাইড করবে বাংলাদেশের জনগণ।
কমিশনের রিপোর্ট, কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে পলিটিক্যাল কনসালটেশন এবং এই কনসালটেশনের পর বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের সোসাইটি, বাংলাদেশের সমস্ত স্টিকার যখন ডিসাইড করবে যে, না আমরা এই এই বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছি, তখন ইলেকশনের একটি ইয়ে হবে। এটা কবে হবে তা এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। আর আমার মনে হয়, সেনাপ্রধান এখানে অপিনিয়ন দিয়েছিলেন।’