এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ১৭০ জনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। আরও বেশ কয়েকজন নজরদারিতে আছেন। এছাড়া হামলার ঘটনায় ৩৯ জন নির্দেশদাতা নেতাকেও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ২১৯টি অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার ওপর র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো গুলি করা হয়নি দাবি করে মুনীম ফেরদৌস বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো গুলি করা হয়নি। যদি আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাছে কোনো অভিযোগ থাকে তবে আমরা তা খতিয়ে দেখব।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মুনিম বলেন, র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে শুধুমাত্র টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে র্যাব হেডকোয়ার্টার থেকেও বিভিন্ন কার্যক্রম নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
র্যাবের কোনো সদস্য পালিয়ে যায়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা কর্মবিরতিতে গেলেও কোনো র্যাব সদস্য কর্মবিরতিতে যাননি বা পালিয়ে যাননি।
এদিকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত একটি মুদি দোকানের ভেতর থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এই হত্যার ব্যাপারে র্যাব মুখপাত্র জানান, আর্থিক লেনদেনের দ্বন্দ্বের জেরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। মুনীম জানান, রফিকুলকে হত্যার ঘটনা দেখে ফেলায় কর্মচারী সাব্বিরকেও হত্যা করা হয়। কিছু লোকের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। পরে তারা রুমনকে সঙ্গে নিয়ে হত্যা পরিকল্পনা করে। জড়িত বাকি দুই জনকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
আসছে ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সর্বজনীন এই আনন্দোৎসবে ইতিমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, দুর্গাপূজাকে ঘিরে উসকানি রয়েছে। তবে বিশৃঙ্খলা রোধ করতে মাঠে তৎপর থাকবে র্যাব। সকাল ও বিকেলে থাকবে বিশেষ টহল। দেশের সব পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় র্যাব কাজ করবে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমান্ডো, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে, বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্ত ভার দীর্ঘদিন ছিল র্যাবের ওপর। কিন্তু সংস্থাটি ১২ বছরে ১১১ বার প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।