বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৬:২৪:৫১

হেডফোন থেকে সাবধান!

হেডফোন থেকে সাবধান!

নিউজ ডেস্ক : কানে হেডফোন লাগিয়ে চলাফেরা করলে যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে।  ঝড়ে যেতে পারে তরতাজা প্রাণ।  শূন্য হতে পারে গর্ভে রাখা মায়ের বুক।  না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটলে পরিবারে নেমে আসবে কান্না।  এমনই ঘটনা ঘটেছে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেটে।

একটা হেডফোনই কাল হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তানভীর গওহর তপুর (২৩) জীবনে। মগবাজার ওয়্যারলেস গেটে ট্রেনের ধাক্কায় বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রাণ হারান তিনি।  

তানভীর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’কানে হেডফোন লাগিয়ে ট্রেন লাইনের ওপর দিয়ে হাঁটার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তানভীর।

তানভীরের বাবা মোহাম্মদ আলী গওহর জানান, তারা স্বপরিবারে মগবাজার এলাকার ডাক্তার গলির ১৭১ নম্বর বাসায় থাকেন।  তানভীর তাদের একমাত্র সন্তান ছিল।  সকালে সে টিউশনি করার জন্য বাসা থেকে বের হয়।

ওয়্যারলেস রেলগেটে ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তানভীর।  প্রথমে তাকে স্থানীয় ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান  তানভীর।

তানভীরদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার কোতয়ালি থানার কালিয়াজুরিতে।  ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে তার মৃত্যুর খবরে বুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা শেষবারের মতো তানভীরকে দেখতে ঢামেক হাসপাতালে ছুটে আসেন।  এসময় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।  তানভীরের পরিবারের সদস্য, স্বজন, তার সহপাঠী ও শিক্ষকদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ যেন ভারী হয়ে ওঠে।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, সকালে ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় দু’কানে হেডফোন লাগিয়ে ট্রেন লাইনের ওপর দিয়ে হাঁটছিলেন বুয়েট শিক্ষার্থী তানভীর।  এ সময় জয়দেবপুর থেকে ঢাকাগামী তুরাগ ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি।  পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
১৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে