বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৭:০২:২৩

বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুখবর, ৩৭ হাজার টাকায় মালয়েশিয়া

বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুখবর, ৩৭ হাজার টাকায় মালয়েশিয়া

নিউজ ডেস্ক : আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া- এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।  দেশটিকে যেতে ৩৭ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানান তিনি।  

এ লক্ষ্যে সরকার মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে জিটুজি প্লাস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর জন্য একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।  আজ মালয়েশিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।  একে বলা হচ্ছে জিটুজি প্লাস পদ্ধতি।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে আজ।  একে বলা হচ্ছে জিটুজি প্লাস পদ্ধতি।

রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে সে দেশের মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতো রিচার্ড রায়ট আনাক জায়েম।

এর আগে বেসরকারি রপ্তানিকারকদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সরকারি ব্যবস্থাপনায় শ্রমিক পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল।  রতবে নানা জটিলতায় গতি হারায় সে কার্যক্রম।

এবার আবার বেসরকারি রপ্তানিকারকদের সংযুক্ত করা হলো।  নতুন এ পদ্ধতিতে মনোপলির অবকাশ তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন বেসরকারিভাবে শ্রমিক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা।

তবে কেউ একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাবে না বলে দুদেশের সরকারের তরফ থেকেই জানানো হচ্ছে।  অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ৩৭ হাজার টাকার মধ্যে অভিবাসন খরচে বাংলাদেশ থেকে কর্মীরা যেতে পারবে।

এই চুক্তির আওতায় নির্মাণ শিল্প, কৃষিকাজসহ অবকাঠামো খাতেও কর্মী নিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে।  পাঁচবছর মেয়াদি এ চুক্তির আওতায় বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কর্মী নিয়োগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছিলেন, গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জিটুজি) প্রক্রিয়ায় কর্মী প্রেরণের প্রচেষ্টা সফল না হওয়ার জিটুজি ‘প্লাস’ প্রক্রিয়ায় নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  জিটুজি প্রক্রিয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের সুযোগ ছিল না।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আগামী তিন বছরে ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারবে বলে মনে করছে সরকার।  সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, অভিবাসন ব্যয় ৩৪ থেকে ৩৭ হাজারের মধ্যে হবে।  এ ব্যয়ের পুরোটাই বহন করবে কর্মী নিয়োগকারী (সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিক)।  বিদেশে কর্মীদের বেতন পরিশোধ হবে ব্যংকের মাধ্যমে।  এ সমঝোতা চুক্তি এক মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে