এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বেসরকারি সংস্থা মৌসুমী এনজিওর মাঠকর্মী জুয়েল রানার বিরুদ্ধে কিস্তির বই নিতে গিয়ে এক গৃহবধূরকে শ্লী'ল'তাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিচার চেয়ে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ বলছে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নলডাঙ্গা থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর বেলা ১০টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার একটি গ্রামে ওই গৃহবধূর কাছে কিস্তি আদায়ের বই নিতে যায় এনজিও মৌসুমীর মাঠকর্মী জুয়েল রানা।
এ সময় ভুক্তভোগী গৃহবধূ মাঠকর্মী জুয়েল রানাকে বাড়ির বারান্দায় বসতে বলে শয়নঘরে কিস্তি আদায়ের বই আনতে যান। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এনজিওর মাঠকর্মী জুয়েল রানা শয়নঘরে ঢুকে গৃহবধূকে শ্লী'লতা'হানির চেষ্টা করে। পরে গৃহবধূ চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে মাঠকর্মী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৃহবধূ বিচার চেয়ে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, ‘জুয়েল রানার বিরুদ্ধে মৌসুমী এনজিওর নলডাঙ্গা শাখা ম্যানেজার শামীম হোসেনের কাছে অভিযোগ দিলে কোনো প্রতিকার করেননি। বরং অভিযুক্ত জুয়েল রানাকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।’
মৌসুমী এনজিও নলডাঙ্গা শাখা ম্যানেজার শামীম হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা জানার পর মাঠকর্মী জুয়েল রানাকে আমাদের নওগাঁর প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’
মৌসুমী এনজিও মাঠকর্মী অভিযুক্ত জুয়েল রানা বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যখন ওই গৃহবধূর বাড়িতে কিস্তি আদায়ের বই নিতে যাই, তখন গৃহবধূ তার বাড়ির গেট লাগিয়ে চিৎকার শুরু করে। আমি ওই গৃহবধূকে কোনো শ্লী'লতা'হানি করেনি।এ ঘটনা আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করলে গত বৃহস্পতিবার আমাকে চাকরি থেকে বের দেন।’
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে, সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’