শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০২:২৯:২৭

সরকারের মাহফুজ আনাম আর বিএনপির ইতিহাস চর্চা

সরকারের মাহফুজ আনাম আর বিএনপির ইতিহাস চর্চা

নঈম নিজাম : জীবনের পরতে পরতে আমাদের কত সুখ-দুঃখ লুকিয়ে থাকে। আমরা তার কতটুকুই বা প্রকাশ করতে পারি! চারপাশের বিষাক্ত নিঃশ্বাস জীবনের স্বাভাবিকতাকে শেষ করে দেয়। চাওয়া-পাওয়ার স্বাভাবিক হিসাব-নিকাশগুলো আমাদের অনেক কিছু নষ্ট করে।

রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ সংসারের হিসাব মেলানো কঠিন। স্বপ্ন ও বাস্তবতায় অনেক ফারাক। তবু আমরা সোনার হরিণের পেছনে ঘুরি, ধরার চেষ্টা করি।  রাজনীতির মতো জটিল অঙ্ক আমাদেরকে সংকটে ফেলে দেয়। অনেক সময় রাজনীতিবিদরাও বুঝতে পারেন না কখন কোন কাজ করতে হবে।

বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা নিয়ে আমার মনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে নিয়ে সরকারি দলের অতি বাড়াবাড়ি নিয়ে উত্কণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমি বুঝি না একজন সম্পাদকের বিরুদ্ধে এত মামলা কেন করতে হবে! মাহফুজ আনামের অনেক কিছুর সঙ্গে আমি একমত নই।  

কিন্তু তাকে নিয়ে এখন যা হচ্ছে তাতে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে সরকার। ক্রুশবিদ্ধ হচ্ছে আইনের শাসন ও প্রেস ফ্রিডম। এভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ে অতি উত্সাহীদের অতীতের তত্পরতার পরিণাম ভালো হয়নি। বর্তমানের বাড়াবাড়ির পরিণামও ভালো কিছু হবে না। যারা মনে করছেন, সাময়িক একটু হেনস্তা করে নেই, তারাও ভালো কিছু করছেন না।

একইভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলছেন। তারেক রহমান বলেছেন। বাবু গয়েশ্বর রায় থেকে শুরু করে রিজভী আহমেদ বসে নেই। বচন দিচ্ছেন। নজরুল ইসলাম খানও ভদ্র ইমেজ ছুড়ে ফেলে ইতিহাস চর্চা করছেন। একজন রাজনীতিবিদের চলনে-বলনে, কথায় আশার আলো থাকবে। বাস্তবতা থাকবে।

সময়ের সঙ্গে মিলে চলতে হবে। কিন্তু অবাস্তব বিষয় নিয়ে রাজনীতি জমানো যায় না। বরং জটিলতা বাড়ে। এই মুহূর্তে দেশের মূল বিষয় একাত্তরের সংখ্যাতত্ত্ব নয়। বিএনপি এদেশে বারবার ক্ষমতায় ছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন— এ নিয়ে বিতর্ক করেননি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন, প্রশ্ন করেননি। তাহলে এখন কেন?

কিছু দিন আগে আমার কাছে একটি বই পাঠান এক বন্ধু। বইটি পাকিস্তানের একজন কূটনীতিকের। এই কূটনীতিক এক সময়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যাতত্ত্ব বিতর্কের তিনি আবিষ্কারক। পাকিস্তানি কূটনীতিক মিয়া আফসারি মেহদী হাশমি কোরেশির বইটির নাম ‘১৯৭১ : প্রকৃত ঘটনা ও কল্পকথা’। ৪৪৪ পৃষ্ঠার বইটি ইংরেজিতে লেখা।

লেখক তার পরিচয় দিয়েছেন শুধু আফরাসিব নামে। তবে উপক্রমনিকায় পুরো নাম ব্যবহার করেছেন। পাকিস্তানি এই কূটনীতিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা লিখেছেন ৩৪ অথবা ৪০ সহস্রাধিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি একজন শিক্ষকের নামও কোট করেছেন। পাকিস্তানি কূটনীতিকের ধারাবাহিকতা বিএনপি কেন বহন করবে?

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমার মনেও প্রশ্ন দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি তখন এ নিয়ে কোনো প্রশ্নে যায়নি। তারা ব্যস্ত হলো বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার অবদান নিয়ে। আওয়ামী লীগের আগের পাঁচ বছরের সময় হলমার্ক, শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ বড় দুর্নীতিগুলো নিয়ে বিএনপি সোচ্চার ছিল না। তারা শুধু নির্বাচনী ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

লড়াইটা একদলের ক্ষমতায় থাকার, আরেক দলের যাওয়ার। এখানে সাধারণ মানুষ কোনো বিষয় নয়। এই লড়াইয়ে বিএনপিকে কৌশলের ম্যারপ্যাঁচে নাস্তানাবুদ করছে আওয়ামী লীগ। আর ক্ষমতার লড়াইয়ে হেরে বিএনপি ব্যস্ত ইতিহাস চর্চা নিয়ে। এখানেও সাধারণ মানুষের ইস্যু নেই। ইতিহাস নিয়ে এত প্রশ্ন থাকলে আপনারা ক্ষমতায় থাকার সময় কী করেছেন? তখন প্রশ্ন করেননি কেন? মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে আসার আগেই মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছিল।

রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র প্রাভদা ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ। পাকিস্তানি আর্মিদের বৈঠকে ইয়াহিয়া খান স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছিলেন নিহতের সংখ্যা ৩০ লাখ। ১৯৭১ সালের ২১ ডিসেম্বর দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘হানাদার দুশমন বাহিনী প্রায় ৩০ লাখ নিরীহ লোক ও দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

’৭২ সালের ৫ জানুয়ারি ইংরেজি দৈনিক মর্নিং নিউজ ও অবজারভার লিখেছে, শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখ।  ১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি দৈনিক বাংলার শিরোনাম ছিল ‘হুঁশিয়ার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত’। এই প্রতিবেদনে তারা উল্লেখ করেছেন, পাকিস্তানি বাহিনীর তাণ্ডবে ৩৫ লাখের বেশি বাঙালি নিহত হয়েছে। এসব লেখালেখির পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে আসেন ’৭২ সালের ১০ জানুয়ারি।

তাই অকারণে রাজনীতিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে অথবা পাকিস্তানের প্রতি অতি ভালোবাসার কারণে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক তোলা হচ্ছে। এই বিতর্ক আমাদের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট তত্পরতা। বিএনপির মতো দলের কাছে, এর চেয়ারপারসনের কাছে আমরা এই নোংরামি আশা করি না।

আমরা সুস্থধারার রাজনীতি চাই। কিন্তু কিছু জায়গায় বিতর্কের অবকাশ নেই। বাড়াবাড়ির সুযোগ নেই। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা, সংবিধান, জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক হতে পারে না। দরকারও নেই। পাকিস্তানি কূটনীতিক যে বিতর্ক শুরু করলেন, তা বিএনপিকে কেন টানতে হবে?

বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। আমাদের চিন্তার ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু অকারণে জটিলতা বাড়াতে হবে কেন? রাজনীতি খারাপ কিছু নয়। আমাদের রাজনীতিকরা দেশটা স্বাধীন করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নও তাদের হাতে। কিন্তু রাজনীতি তখনই খারাপ হয়, যখন এর অপব্যবহার হয়। একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে। আর এই বাড়াবাড়ির জন্ম পাকিস্তানে। বিএনপিকে বর্তমান নিয়ে ভাবতে হবে।

সরকারের ভুলগুলো নিয়ে চিন্তা করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। মন্ত্রী-এমপিদের বাড়াবাড়ি, অপকর্ম, অনিয়মে জড়িয়ে পড়াকে তুলে ধরতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলের কাছে মানুষ এটাই প্রত্যাশা করে। সংসদে কার্যত কোনো বিরোধী দল নেই। তাই রাজপথের বিরোধী দলের কাছে মানুষের কিছু প্রত্যাশা রয়েছে।

রাজপথের বিরোধী দল দেশের মূল ইস্যু বাদ দিয়ে ইতিহাস চর্চায় ব্যস্ত হলে মানুষের যাওয়ার জায়গা থাকে না। আশাবাদের স্থানগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আমার কাছে মনে হয়, বিএনপিকে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য নানামুখী তত্পরতা আছে। এই তত্পরতার অংশ হিসেবে সর্ষের ভিতরে ভূত রয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরেই লুকিয়ে রয়েছে সরকারের এজেন্টরা।

যারা বিএনপিকে ইতিহাস চর্চায় রেখে সরকারের রাষ্ট্র ক্ষমতাকে বৈধভাবে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সরকারের তৈরি করা চক্রের মধ্যেই বাস করছেন। অন্যথায় এতদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে তারা মূল ইস্যুগুলো থেকে সরলেন কেন? নির্বাচনের খবর নেই, দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে কথা নেই, তারা ব্যস্ত ’৭১ সাল নিয়ে।

বিএনপির ব্যর্থতার কারণে সরকার অতি ভালো সময় কাটাচ্ছে। অনেক সময় অতি ভালো ভালো নয়। চারদিকে হঠাত্ করে তোষামোদকারীদের ছড়াছড়ি দেখছি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে অনেকের চেহারা বদলে গিয়েছিল। এখন আবার সবাই আওয়ামী লীগ। আমি কোথাও খুঁজে অন্য দলের লোক এখন আর দেখি না। দেশে যেন আওয়ামী লীগার হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে।

সেদিন কাজের মেয়েটিও বলল, তার স্বামী এখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। বাস্তবেও তাই। জাতীয় পার্টি তাকিয়ে থাকে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি অপেক্ষা করছে সরকারি দল দেশে ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতায় বসাবে।

জামায়াতের আর্থিক খাতগুলোতে সরকারের প্রভাব রয়েছে। শুনছি ইসলামী ব্যাংকে পরিবর্তন আসছে। জানি না সত্য-মিথ্যা। আসলে দেশজুড়ে তোষামোদির একটা প্রতিযোগিতা চলছে। এই প্রতিযোগিতা রাষ্ট্রের সর্বস্তরে। আমলারা এখন দল করতে পছন্দ করেন। বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে গিয়ে তারা কেঁদে ফেলেন।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বিশ্বাস করে তারাই সরকারের মূল। কারণ সরকারকে তারা টিকিয়ে রেখেছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকারের অতি সমর্থকরা পালিয়েছিল। হাইব্রিডরা স্তব্ধ ছিল। অনেক এলাকায় ক্ষমতাভোগী নেতা-কর্মীদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাজপথ ছিল বিএনপি-জামায়াতের দখলে। তখন সরকারের পাশে ছিল শুধু আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। তাদের ব্যাপারে আমার আপত্তি নেই।

যদিও আমি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতিকরণের বিপক্ষে। প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার কোনো বিকল্প নেই দেশের আইনের শাসনের স্বার্থে। কিন্তু বিস্মিত হই কিছু পেশাজীবীর হঠাত্ অতি আওয়ামী লীগার হওয়ার প্রবণতা দেখে। দুঃসময়ে এই চেহারাগুলো দেখিনি। এরশাদের সময়ে যাব না। ’৯১ সাল থেকে ’৯৬ সালেও যাব না। ২০০১ সালের পরও তাদের দেখিনি। এখন দেখছি। ওরা সবাই আওয়ামী লীগার।

শুধু তাই নয়, তাদের কান্না, চোখের জল, নাকের জলে এখন টিভির টকশো সয়লাব। মাঝে মাঝে ভাবি বাছাধনরা এই জীবনে অনেক দেখলাম। অপেক্ষা করছি, তোমাদের এই অতি আওয়ামী লীগ বনার প্রবণতা কতদিন থাকে। আসলে অতি কোনো কিছুই ভালো নয়। দেশে অতি ও হঠাত্ আওয়ামী লীগারদের দরকার নেই। দরকার সত্যিকারের আওয়ামী লীগারদের।

খাটি মানুষদের, যারা দলের দুঃসময়ে ছিলেন, ভবিষ্যতেও দলের জন্য ঝুঁকি নেবেন। তাহলে সমস্যা থাকে না। সত্যিকারের রাজনীতিকদের হাতে রাজনীতি থাকাটাই জরুরি। আওয়ামী লীগের মতো দলের জন্য এটা আরও জরুরি। কারণ দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার অনেক কিছুর সঙ্গেই আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব জড়িয়ে রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর চাটুকারদের আওয়ামী লীগ এক নয়। মাহফুজ আনামকে নিয়ে যা হচ্ছে তা দেখেই বাস্তবতা বোঝা যায়। মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলার আগে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখতে হবে। মাহফুজ আনামের বিচার হলে সেই সময় যে নেতারা তাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বিচার হবে না কেন?

যে কর্মকর্তারা সংবাদপত্র, টিভি অফিসে জবানবন্দি প্রকাশ করতে বাধ্য করেছিলেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে না কেন? ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে নেওয়া সাড়ে ১২০০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না কেন?

ওয়ান-ইলেভেনের পর কোন রাজনীতিকরা বক্তব্য রেখেছিলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেন আমাদের আন্দোলনের ফসল’? সবকিছু ভাবতে হবে। হুজুগে মামলার পাহাড় জমিয়ে সরকারকে বিব্রত করার মানে নেই। এতে করে দেশে-বিদেশে ভুল বার্তা যাচ্ছে।  বিদেশিরা এরপর প্রশ্ন তুলবেন বাংলাদেশের মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে। আমরা আওয়ামী লীগকে নতুন করে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি দেখতে চাই না।

পাদটীকা : পাকিস্তান আমলে আমাদের কুমিল্লার এক ভদ্রলোক গিয়েছিলেন আমেরিকায়। দেশে ফেরার পর সবাই তাকে ঘিরে ধরেছে। বলেছে, ভাই কী দেখলেন? আমেরিকা ফেরত ভদ্রলোকের চোখে-মুখে বিস্ময়। বললেন, অনেক কিছু দেখেছি।

সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হয়েছি, ওয়ান-টুতে পড়া শিশুদের মুখে ইংরেজি শুনে। এত সুন্দরভাবে তারা ইংরেজিতে কথা বলে। চোখে না দেখলে, কানে না শুনলে বিশ্বাস করা যাবে না।  বর্তমান বিএনপির ইতিহাস চর্চা দেখে পুরনো দিনের গল্পটা মনে পড়ে গেল। বিএনপি ’৭১ সালে ফিরে গেছে।  আর আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে ২০১৬ সালকে ঘিরে।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে