এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও মানুষের আয় বাড়েনি।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের হলরুমে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডশনের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরও বাস্তব ও কঠোর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বছরের পর বছর মাফিয়া সরকারের বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা একটু কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ানো যেতে পারে। সরকারকে সতর্ক থাকা দরকার, ফ্যাসিস্ট আদর্শকে লালন করা ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়ে রেখে উদ্দেশ্য সফল করা সম্ভব না।’
তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষকে আধ পেটে রেখে কোনো ভালো কথা শোনানো সম্ভব নয়। যেকোনো উপায়ে ঘরে বাইরে জনগণের দুর্ভোগ কমাতে না পারলে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘মাফিয়া সরকারের প্রধান গণহত্যা চালিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর জনগণ তার ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। মাফিয়াচক্রের দীর্ঘ শাসনকালে মানুষ বিভিন্নভাবে বৈষম্যর শিকার হয়েছে। জনগণ এখন সম্পূর্ণভাবে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হতে চায়। বঞ্চিতরা তাদের হারানো অধিকার ফিরে পেতে চায়। মাফিয়াচক্রের হাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছে।’
মাফিয়াচক্র সরকারকে ব্যর্থ করতে চায় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকারের মাফিয়াচক্র দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ঘরে বাইরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে। ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত শুরুতে উপড়ে ফেলতে না পারলে তাদের বিষাক্ত দংশনে হাজারো ছাত্র জনতার রক্ত আবারো বিপন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘গণহত্যা চালিয়ে স্বৈরাচার সরকারের রেখে যাওয়া জঞ্জাল দূর করে রাষ্ট্রকে জনগণের প্রত্যাশিত গণতন্ত্রে ফেরাতে একটি সরকারের জন্য আড়াই মাস যথেষ্ট নয়। আবার এই সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করতে পারলে অনাকাঙ্ক্ষিত বাধার সম্মুখীন হতে পারে।’
অন্তবর্তীকালীন সরকারের বক্তব্যে সমন্বয়হীনতা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকারের কিছু কিছু সমন্বহীনতা ফুটে উঠতে শুরু করেছে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বিভিন্ন বক্তব্য এসেছে। এমন একটি কাঙিক্ষত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সরকারের বক্তব্যের গড়মিল জনগণের মনে নানা ধরনের সন্দেহ সৃষ্টি করে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। উপস্থিত ছিলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।