এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে বিএনপিসহ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলগুলো ভেতরে ভেতরে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে তার নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
নুরকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। গত ২২ অক্টোবর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে পাঠানো হয়েছে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর)। ইতোমধ্যে সেই চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তার সংসদীয় এলাকায় (পটুয়াখালী-৩, গলাচিপা-দশমিনা) জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার থানা, উপজেলা বা পৌরসভায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতে আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এই আদেশ অতীব জরুরি।’
নুরুল হক নুর আলোচনায় আসেন ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনে। পরবর্তী সময়ে ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করায় তিনি ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। এক পর্যায়ে তিনি অন্যদের নিয়ে গণঅধিকার পরিষদ নামে দল ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগ সরকার থেকে বিভিন্ন প্রলোভন পেলেও শুরু থেকেই নুর বিএনপির সঙ্গে রয়েছেন।
ইতোমধ্যে গণঅধিকার পরিষদ ভেঙে দুই টুকরো হয়ে গেলেও নুরের নেতৃত্বাধীন অংশ সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেয়েছে। দলটির প্রতীক ‘ট্রাক’। নিবন্ধন নম্বর ৫১।
পটুয়াখালী-৩ আসনে আগে থেকেই বিএনপির শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, টকশোর আলোচিত মুখ গোলাম মাওলা রনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে ওই আসনে মনোনয়ন পান। তবে ওই নির্বাচনে সারাদেশের মতো সেই আসনে একচেটিয়া প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগ আসনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
গোলাম মাওলা রনি এখনো বিএনপিতে থাকলেও তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সম্প্রতি তার বিভিন্ন বক্তব্য বিএনপির অবস্থান ও আদর্শের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে নুরুল হক নুরকে পটুয়াখালী-৩ আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি।