এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার দুশমন ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য প্রফেসর মো. আব্দুত তাওয়াব। তিনি বলেন, বড় বড় স্বৈরশাসকের ইতিহাস পড়েছি। কিন্তু শেখ হাসিনার মতো একজন নারী ও মা যে এরকম স্বৈরশাসক ও নরপিশাচ হয়, তা জানা ছিল না।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের বাইপাস সড়কে স্থানীয় জামায়াত আয়োজিত গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রফেসর মো. আব্দুত তাওয়াব বলেন, শেখ হাসিনা দেশের একজন সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করে রক্তমাখা হাতে নানা অঙ্গভঙ্গিতে চলতে থাকেন। এমন একজন ভয়ংকর স্বৈরশাসক দীর্ঘ ১৮টি বছর আমাদের দেশ শাসন করেছেন। তিনি আসলে ছিলেন মানবতার দুশমন। তার কাছে কেউ নিরাপদ ছিল না।
তিনি বলেন, যে আইনে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেই আইনেই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের নতুন কোনো আইন করা লাগে নাই। শেখ হাসিনার করা আইনেই আগামীতে তিনটি গণহত্যার বিচার করা হবে।
তা হলো পিলখানার হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে হেফাজত নেতাকর্মী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পরে সারা দেশে ২০০ লোককে গুলি করে হত্যা। এসব গণহত্যার বিচার শেখ হাসিনার গঠন করা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালেই হবে।
জামায়াতের এই নেতা আরো বলেন, শেখ হাসিনা সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে বিচার করেছেন। আর ওই একই ট্রাইব্যুনালে এখন সত্য-সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করা হবে। যা পৃথিবীর সবাই জানবে।
আশা করি, শেখ হাসিনার ফাঁসি হবে। কারণ দেশের শিশুরাও এই খুনি হাসিনার ফাঁসি চায়।
সালথা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা মো. আবুল ফজলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েব আমির ইমতিয়াজ উদ্দীন আহমেদ, সহকারী সেক্রেটারি আবু হারিচ মোল্যা, বায়তুল মাল সেক্রেটারি মো. ফারুক হোসেন, অফিস সেক্রেটারি অধ্যাপক মিজানুর রহমান, জেলা মজলিসে শুরা সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান, নগরকান্দা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. সোহরাব হোসেন, জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি হাফেজ মো. ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ।
এ ছাড়া জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের হাজারো নেতারা উপস্থিত ছিলেন।