এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে ৯ জন কৃষক অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণকারীরা তাদের পাহাড়ে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। অপহৃতদের মধ্যে সাতজন স্থানীয় এবং দুজন রোহিঙ্গা।
তারা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোসেন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, ‘স্থানীয় সাতজন কৃষককে অপহরণ করা হয়েছে বলে শুনেছি। পাহাড়ের পাদদেশে ক্ষেত-খামারে কাজ করার সময় তাদের ধরে নিয়ে যায়। আমি টেকনাফ মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।’
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। পুলিশ উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গেল এক সপ্তাহের পূর্বে দুই কৃষকসহ আরো পাঁচজনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তারা সবাই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইক্যং ইউপির পশ্চিম মহেশখালিয়াপাড়ার আবদু সালামের পুত্র মোহাম্মদ রফিক ওরফে ডাকাত রফিক ও কম্বনিয়া পাড়ার মাতাইয়া ছেলে জগির হোসেন উক্ত অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানা গেছে। তাদের নেতৃত্বে একটি বিশাল অপহরণ চক্র পাহাড়ে অবস্থান করে স্থানীয় কৃষক ও রোহিঙ্গাদের অপহরণ করে প্রতিনিয়ত মুক্তিপণ দাবি করে। চাহিদা মতো মুক্তিপণ না দিলে হত্যা করে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য মতে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩৬ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮১ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৫জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬৯ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।