শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১২:৫১:৩৮

৬ দিন পর নিখোঁজ ছেলে খুঁজে পেলেন ফেসবুকে

৬ দিন পর নিখোঁজ ছেলে খুঁজে পেলেন ফেসবুকে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে : ফেসবুকের বদৌলতে লিমন মিয়াকে (১৪) ফিরে পেলেন তার বাবা-মা। নারায়ণগঞ্জের বরপার এই প্রতিবন্ধী কিশোর ৬ দিন আগে নিখোঁজ হয় বাড়ি থেকে। গতকাল বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার কান্দাপাড়া থেকে লিমনকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তার পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ ও লিমনের পরিবারের সদস্যরা  জানান- গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে হারিয়ে যায় প্রতিবন্ধী লিমন মিয়া। সে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তার নিখোঁজের বিষয়ে ১৫ই ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন লিমনের বাবা।

ওদিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের কান্দাপাড়ার কৃষক ছিদ্দিক মিয়া গত সোমবার বেলা দেড়টার দিকে বাড়ির পাশের রাস্তায় অচেনা একটি ছেলেকে দেখতে পান। ছেলের পরিচয় জানতে চাইলে সে তার নাম লিমন বলে জানায়।

বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে সে শুধু মায়ের কাছে যাবে বলে বলতে থাকে। ছেলেটি নিজের নাম ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছিল না। পরে ওই দিন বিকালে তিনি লিমনকে থানায় নিয়ে যান। ছেলেটিকে তার মা-বাবার কাছে পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত এলাকায়  মাইকিং করান ছিদ্দিক মিয়া।

ওই দিনই ফারুকুল ইসলাম বুলবুল নামে ছিদ্দিক মিয়ার এক প্রতিবেশী লিমন মিয়ার ছবি ফেসবুকে আপলোড করে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাস দেখে বৃহস্পতিবার রাতে ফারুকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন লিমন মিয়ার এক আত্মীয়। এই কয়েক দিন লিমন মিয়া ছিদ্দিক মিয়ার বাসায় ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে গতকাল মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয় লিমন মিয়াকে।

কৃষক সিদ্দিক মিয়া বলেন, লিমনকে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি  খুশি। খুব চিন্তায় ছিলাম ছেলেটিকে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবো কিনা। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া লিমন তার বাবা-মাকে ফিরে পেয়েছে।

লিমন মিয়ার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। সে বাড়ির বাইরে খুব একটা বের হয় না। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে কয়েকটি ছেলের সঙ্গে বাসা থেকে একটু দূরের মাঠে খেলতে যায়। আধা ঘণ্টা পর জানতে পারি ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকায় মাইকিং করি। পরদিন ১৫ই ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।

এরপর ফেসবুকে ছবি দেখে আমার এক আত্মীয় জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর গ্রামের কৃষক ছিদ্দিক মিয়ার বাড়িতে আছে লিমন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাঞ্ছারামপুরে যোগাযোগ করি। এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে বাঞ্ছারামপুরে এসে আমার ছেলেকে ফিরে পাই। যারা আমার ছেলেকে আশ্রয় দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি (তদন্ত) কামারুজ্জামান তালুকদার জানান, লিমন মিয়াকে তার মা-বাবার কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।  -এম.জমিন

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে