ঢাকা : আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবে একটানা চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচনকে ঘিরে সাংবাদিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এবার ৫টি প্যানেলে ৮৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রচার-প্রচারণায় সাম্প্রতিক সময়ে তারা বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। অন্যদিকে, পছন্দের প্রার্থী বাছাই নিয়ে তিন হাজার সাংবাদিক ভোটারদের মধ্যে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সভাপতি পদে ড. উৎপল কুমার সরকার, কুদ্দুস আফ্রাদ, শাবান মাহমুদ, আবু জাফর সূর্য ও আবুল কালাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সাজ্জাদ আলম খান তপু, আবদুল মজিদ, সোহেল হায়দার চৌধুরী, এম এ কুদ্দুস, খন্দকার মোজাম্মেল হক, মেহেদী হাসান ও রহমান মুস্তাফিজ। সহ-সভাপতি পদে অহিদুজ্জামান মিঞা, আতিকুর রহমান চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম এবং মোস্তাক হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যুগ্ম-সম্পাদক পদে শাহানা শিউলী, খায়রুল আলম, গাজী জহিরুল ইসলাম, রফিক আহমেদ ও রওশন ঝুনু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান জানান, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তিন হাজার সাংবাদিক তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
তিনি বলেন, ভোটার ছাড়া বাইরের কোনও ব্যক্তি যাতে নির্বাচনের কোনও প্রচার প্রচারণায় অংশ না নেয় তার জন্য সব প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশারের এক আচরণবিধিতে জানানো হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ৩০ মিনিট আগে (সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে) প্রত্যেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীকে একজন করে এজেন্টের নাম লিখিতভাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। নির্বাচন ও ভোটের ফলাফল ঘোষণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এজেন্ট পরিবর্তন করা যাবে না। নির্বাচন চলাকালে জালভোট দেওয়া প্রতিরোধ এবং ভুয়া ভোটার চিহ্নিত করার দায়িত্ব এজেন্টদের।
কোনও ভোটার সম্পর্কে এজেন্টরা আপত্তি জানালে নির্বাচন কমিটি ভোটারের পরিচিতি চিহ্নিত করবে। ভুয়া ভোটার ধরা পড়লে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে আচরণবিধিতে জানানো হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন