এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর হিলি খুচরা বাজারে তিনদিনের ব্যবধানে কাঁচা সবজি ও ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে আলুর দাম। ডিম খাচিপ্রতি (৩০ পিচ) ২০ টাকা কমে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি অব্যাহত থাকলেও বেড়েছে আলুর দাম।
হিলি বাজারে বিভিন্ন সবজি প্রকারভেদে ২০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে।
বর্তমানে বেগুন কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে ৫০ টাকা, পটল কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে ৩০ টাকা, করলা কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমে ৮০ টাকা, সিম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা কমে ১২০ টাকা এবং পাতা কপি ও ফুল কপি কেজি প্রতি ৬০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়। বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তবে সবজি ও ডিমের দাম কমলেও আলুর দাম না কমার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।
হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে হিলি কাঁচাবাজারে সবজির দাম কমেছে। বিভিন্ন প্রকার সবজিতে দাম কমার কারণে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে আমাদের মাঝে। তবে আলুর বাজারে কোনোভাবেই দাম কমেছে না।
বরং দিন দিন দাম বেড়েই চলেছে। কেন দাম বাড়ছে এর জন্য প্রশাসনের কঠোর নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।’
হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, ‘গত কয়েক দিন থেকে হিলির বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। বাজারে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা দাম কমেছে।
আগের থেকে ক্রেতা অনেক বেড়েছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।’ মোকামে শীতকালীন সবজি বেশি ওঠার কারণে দাম আরো কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে ডিমের দাম কিছুটা বেশি ছিল। বর্তমানে খামার মালিকরা ডিমের দাম কমিয়ে দিয়েছে, যার জন্য খাচিপ্রতি (৩০টি ডিম) ২০ টাকা কমেছে। বর্তমানে প্রতি খাচি (৩০ পিচ) ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা প্রতি পিচ ১২ টাকা বিক্রি করছি। তবে শীত মৌসুমে দাম কমবে কিনা তা এখন বলা যাচ্ছে না। ডিমের দাম কমলেও আগের মতো ক্রেতা নেই।
অপর দিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি অব্যাহত থাকলেও বাজারে আলুর দাম কমেছে না।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মইনুল হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি অব্যাহত রয়েছে তবে আলুর দাম কমেছে না। গত তিন থেকে চার দিন আগে গোল ও স্টিক আলু ৫৫ টাকা বিক্রি করেছি। আর আজ গোল ও স্টিক আলু ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।’
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন ডেভিড বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অনিয়মিতভাবে আলু আমদানি হলেও বর্তমানে আলু আমদানি পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল ৫ নভেম্বর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩৬টি ভারতীয় আলু বহনকারী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।’
এদিকে গতকাল বুধবার হিলি জিরো পয়েন্টে দ্বায়িত্বে থাকা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ২৬টি ভারতীয় আলু বহনকারী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।