এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ গোলাম নাফিজের দেহ বহনকারী রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রাখার উদ্দেশ্যে গণভবনে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণভবনে সেই রিকশাটি দেখতে আসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
রিকশা হস্তান্তরের সময় উপদেষ্টা রিকশাচালক নূর মোহাম্মদকে তার সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন তথ্য উপদেষ্টা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৫ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত ‘নাফিজের নিথর দেহ পড়ে থাকা রিকশাটি বিক্রি করে দিয়েছেন নূরু’ শীর্ষক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক রিকশা ও রিকশাচালককে খুঁজে বের করার জন্য তার দফতরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা (রিকশা) ৩৫ হাজার টাকায় লন্ডনপ্রবাসী আহসানুল কবীর সিদ্দিকী কায়সারের কাছে বিক্রি করেছেন বলে জানান। পরবর্তী সময় আহসানুল কবীর সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে হস্তান্তর করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রিকশাটি জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ফার্মগেটের পথচারী-সেতুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম নাফিজ। গুলিবিদ্ধ নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পা-দানিতে তুলে দেন, তখনও তিনি রিকশার রডটি হাত দিয়ে ধরে রেখেছিলেন। রিকশাচালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাকে আর বাঁচানো যায়নি। পরবর্তী সময় এই রিকশার ছবি কাঁদিয়েছে পুরো বাংলাদেশকে।