এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর কাঁচামালের বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি থাকলেও কাঁচা মরিচ, টমেটো করলা ও বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা। তবে বাজারে অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে বাজারে চাল পেঁয়াজ-আলু চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজারসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির ফুলকপি ও বাঁধাকপি আসলেও দাম তুলনামূলক বেশি। ছোট আকারের একেকটি কপি ৩০-৪০ টাকা পিস, ছোট আকারের লাউ ৪০-৫০ টাকার মধ্যে, মাঝারি আকারের লাউয়ের দাম ছিল প্রতিপিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি ২০ টাকা বেড়ে কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, ১০ টাকা করে বেড়ে টমেটো ১৩০ টাকা, বেগুন মান ভেদে ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বরবটি ৭০ টাকা, শিম ৮০, পেঁপে ৩০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙা, কচুর মুখি, মুলা, ধুন্দল, বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া,লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২৫০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বেশ কিছু পাইকারি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ডজন প্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৪০ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছিল। খুচরা পর্যায়ে ডজন প্রতি ১০ টাকা করে কমে সাদা ও লাল ফার্মের ডিম ১৫০ টাকা ডর্জন বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুরগীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ব্রয়লার আকার অনুযায়ী মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি মান ভেদে ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৫২০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলু কেজিপ্রতি ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১৫০ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১১০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি মোটা চাল ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৭৩ টাকা, আটাশ চাল ৬১ টাকা, কাটারি নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আমনধানের চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুড়া পোলার চাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা,রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ছয় কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওরান বাজারে বর্তমানে ভারতীয় জিরা কেজিপ্রতি প্রায় ৭৮০ টাকা, শাহী জিরা কেজিপ্রতি ১৬৬০ টাকা, মিষ্টি জিরা কেজিপ্রতি ২৪০ টাকা, পাঁচফোড়ন কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, রাঁধুনী কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা, মেথি কেজিপ্রতি ১৫০ো টাকা, চিনাবাদাম কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা, কাজু বাদাম কেজিপ্রতি এক হাজার ৬০০ টাকা, পেস্তা বাদাম কেজিপ্রতি দুই হাজার ৭৫০ টাকা, ত্রিফলা কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা, জয়ফল কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা, তেজপাতা কেজিপ্রতি ১৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা, গোলমরিচ কেজিপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা, ধনিয়া কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা, সরিষা প্রতিকেজি ১০০ টাকা, কিসমিস কেজিপ্রতি ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকা, এলাচ কেজিপ্রতি তিন হাজার ৮০০ টাকা, কালো এলাচ কেজিপ্রতি ৩ হাজার টাকা, লবঙ্গ কেজিপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা, জয়ত্রি কেজিপ্রতি দুই হাজার ৯০০ টাকা, পোস্তদানা কেজিপ্রতি এক হাজার ৮০০ টাকা, আলুবোখারা কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা, দারুচিনি কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা, খোলা হলুদের গুঁড়া কেজিপ্রতি ৩৭০ টাকা, খোলা মরিচের গুঁড়া কেজিপ্রতি ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে মসলার দামের ভিন্নতা রয়েছে।