শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:২৫:৫৮

ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারের মেয়াদ বাড়ছে সেনাদের, আরও যা অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা

ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারের মেয়াদ বাড়ছে সেনাদের, আরও যা অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে ২ মাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছিল। যার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে এবং এতে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা সরকারের রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের গ্রাটিটিউড হলে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

এসময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের উর্ধবতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন অরাজনৈতিক সরকারের প্রেক্ষাপট এনে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এ সরকারের আমলে সততা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এটিকে কাজে লাগিয়ে পুলিশ বাহিনীকে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেজন্য বাহিনীর সদস্যদের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে এবং নিজেদেরও এটি থেকে দূরে থাকতে হবে। তা না করতে পারলে বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হবে এবং ৫ আগস্টের শহিদদের রক্ত বৃথা যাবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। পরিচয় ছাড়া কাউকে আইনের আওতায় আনা যাবে না। পুলিশের বিভিন্ন থানায় থাকা, খাওয়া ও শৌচাগারের অবস্থা ভালো নয়।

পুলিশ সদস্যদের এসব সমস্যা-সমাধানে মনোনিবেশ করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করার এখনই উপযুক্ত সময়।

মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনীকে পরিণত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠনসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অন্যান্য এলাকার চেয়ে বরিশালের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে রাস্তা অবরোধ করা হয়। এটিসহ বিভিন্ন জনভোগান্তি রোধে পুলিশকে আরো সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে