এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্প্রতি আলু আমদানিতে শুল্ক হ্রাস ও পেঁয়াজে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাতেও মেলেনি সুফল; এখনও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বাড়লেও ক্রেতাদের চাহিদা দেশি পণ্যে। এতে সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারতের পাশাপাশি মিশরের পেঁয়াজ মিলছে বাজারে। দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব পেঁয়াজ। তবু এর দাম চড়া।
বর্তমানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়; আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকায়। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৭.৭৪ শতাংশ।
ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত বাজার একটু চড়াই থাকবে। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আরমান জানান, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়। এছাড়া, মিশরীয় পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি থাকলে দাম কিছুটা নাগালে থাকতে পারে।
আড়তদার ও আমদানিকারকরা বলছেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসার আগ পর্যন্ত দাম চড়াই থাকবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির বিকল্প নেই। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিনহাজ বাণিজ্যালয়ের খলিল বলেন, বছরের এ সময় বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে; তাই দাম বেশি। আগামী দুমাস দাম চড়া থাকতে পারে; এরপর কমতে শুরু করবে।
দাম বৃদ্ধির একই প্রবণতা দেখা গেছে আলুর বাজারেও। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়, যা গত মাসের তুলনায় ২১.৭৪ শতাংশ ও গত বছরের তুলনায় ৩৩.৩৩ শতাংশ বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় কেনা গেলেও এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। তাই খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি বছর মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়ে। এছাড়া, কোল্ড স্টোরেজগুলো থেকে পর্যাপ্ত আলু দিচ্ছে না।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও কমছে না আলু ও পেঁয়াজের দাম। বাজারে স্বস্তি ফেরাতে নিয়মিত কঠোর তদারকি প্রয়োজন। সাব্বির নামে এক ক্রেতা বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার আলু ও পেঁয়াজের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। এতে বাজারে বেড়েছে পেয়াঁজের সরবরাহ। কিন্তু দামে কোনও তারতম্য ঘটেনি। তাহলে শুল্ক কমিয়ে কি লাভ হলো?
রাফি নামে আরেক ক্রেতা বলেন, শুধু শুল্ক কমিয়ে ও আমদানি বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন নিয়মিত মনিটরিং ও অসাধুদের জরিমানার আওতায় আনা।